নারায়ণগঞ্জ শহরের সদর ব্যাপারীপাড়ায় বাকিতে চা না দেওয়াকে কেন্দ্র করে দোকানিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে ওই দোকানির মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কাউসারকে এলাকাবাসী আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
নিহত দোকানি মোশারফ হোসেন ফকির (৫০) বরিশালের উজিরপুর উপজেলার কাজিরা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি নারায়ণগঞ্জের সদর বেপারীপাড়ায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে বেপারীপাড়ায় মোশারফের চায়ের দোকানে ওই ঘটনা ঘটে।
নিহতের ছেলে দ্বীন ইসলাম বলেন, ‘কাউসার নামের এক বখাটে যুবক দোকানে এসে চা খেতে চান। কিন্তু তিনি টাকা দিতেন না। বাবা বলেন, ‘‘তুমি চা খাও কিন্তু টাকা দাও না। আজকে চা পাবে না।’’ এই কথা বলায় কাউসার ক্ষিপ্ত হয়ে বাবাকে কিল-ঘুষি দিয়ে আহত করেন।’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আহত অবস্থায় চা দোকানি মোশারফকে উদ্ধার করে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে স্বজনরা তাকে বাসায় নেওয়ার পর অবস্থার অবনতি হলে আবারও তাকে ওই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান।
তবে নিহতের মামাতো ভাই সোহাগ শেখের বর্ণনায় কিছুটা ভিন্নতা পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, ‘ওই এলাকার কাউসার নামের এক বখাটে বিভিন্ন দোকানে চা-সিগারেট বাকি খেয়ে টাকা দেন না। আমার ভাইয়ের দোকানেও বিভিন্ন সময় চা-সিগারেট বাকি খেয়ে টাকা দেননি। ঘটনার সময় ভাই তার কাজে দোকান বন্ধ করার সময় কাউসার তাকে দোকান খুলে কিছু দিতে বলেন। তখন ভাই বলেন, ‘‘এখন চলে যাও, দোকান বন্ধ করছি। এ নিয়ে তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে তিনি ভাইকে ঘুষি ও মারধর করেন।’
এ ছাড়া কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, দোকান পরিষ্কার করা সময় কাউসারের শরীরে ময়লা পড়ে। এ নিয়ে তাদের দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে কাউসার ঘুষি মারলে মোশারফ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘মরদেহটি হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় অবগত করা হয়েছে।’
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান বলেন, ‘মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। অভিযুক্ত কাউসারকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
মন্তব্য করুন