কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২৩, ১২:৫০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার ওপরে

বৃষ্টি ও উজানের ঢলে প্লাবিত কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চল। ছবি : কালবেলা
বৃষ্টি ও উজানের ঢলে প্লাবিত কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চল। ছবি : কালবেলা

বৃষ্টি ও উজানের ঢলে ৪র্থ দফায় বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে প্রবাহিত নদ-নদীর পানি। তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমারসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও তা বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

নদ-নদীর অববাহিকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়ায় বন্যার আশংকায় দিন পার করছেন নদী পাড়ের মানুষজন।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী শনিবার (২৬ আগস্ট) সকাল ৯টায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কাউনিয়া পয়েন্ট বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ৭২ সেন্টিমিটার, ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে ৯৭ সেন্টিমিটার ও দুধকুমারের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী অববাহিকার নিম্নাঞ্চল ও নিচু চরাঞ্চলগুলোতে বন্যার পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এরইমধ্যে ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকার উলিপুর উপজেলার বেগমগন্জ ইউনিয়নের নতুন জেগে ওঠা মুসার চর ও বালাডোবার চরের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে।

এদিকে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের গতিয়াসাম, চর খিতাবখা, বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চতুরা, রামহরি ও কালিরহাট এলাকায় দেখা দিয়েছে তিস্তা নদী ভাঙন। এ ছাড়া ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকার উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের কয়েকটি পয়েন্টে এবং ধরলার অববাহিকার মোগলবাসা ইউনিয়নের চরসিতাইঝাড় এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।

তিস্তা পাড়ের বাসিন্দা অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান মুন্সি রানা বলেন, তিস্তা নদী পানি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। তিস্তার বাম তীরে ভাঙন চলছে। দেখার যেন কেউ নাই। এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে তো অনেকে বাড়ি ঘর জমিজমা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাবে। ইতোমধ্যে অনেক মানুষ ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে।

তিস্তা নদীর অববাহিকার গড়াই পিয়ার এলাকার বাসিন্দা আব্দুল খালেক বলেন, তিস্তা নদীর পানি গতকাল থেকে হুহু করে বারছে। আমরা এখানকার সবাই অনেক দুশ্চিন্তায় আছি। কেননা সবাই আমরা আমন আবাদ করেছি যদি সব নষ্ট হয়ে যায়। পানি বৃদ্ধির কারণে রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে আমাদের।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও অন্যান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৮ আগস্ট পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে এবং ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমারের বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আজ থেকে নতুন দামে স্বর্ণ বিক্রি শুরু, ভরি কত

আফগানমন্ত্রীর ভারত সফর ঘিরে কৌতূহল

বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রধান সমস্যা সন্ত্রাস ও দুর্নীতি : রহমাতুল্লাহ

বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান কত

আজ বিশ্ব শিক্ষক দিবস

প্রকৃতির অলংকার অনিন্দ্যসুন্দর সাতডোরা 

৫ অক্টোবর : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

পুলিশের ওপর হামলা করে আ.লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিলেন স্বজনরা

গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারে রাজি ইসরায়েল : ট্রাম্প

রূপায়ণ গ্রুপে চাকরির সুযোগ, পাবেন একাধিক সুবিধা

১০

প্রেমিকার উপস্থিতিতে প্রেমিকের কাণ্ড

১১

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

১২

বাংলাদেশের ম্যাচসহ টিভিতে আজকের যত খেলা

১৩

ঢাকায় কখন হতে পারে বজ্রবৃষ্টি, জানাল আবহাওয়া অফিস

১৪

রোববার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১৫

৫ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৬

মহাসড়কে গাড়ি থামিয়ে ডাকাতি, ক্লু পাচ্ছে না পুলিশ

১৭

পাতানো জালে আটকা নিখোঁজ বৃদ্ধের লাশ

১৮

ভারত বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চায় না : মুশফিকুর রহমান

১৯

সিলেটে যানজট মোকাবিলায় এনসিপির ২৭ প্রস্তাবনা

২০
X