হঠাৎ ফেসবুক লাইভ করে ক্ষোভ ঝেড়েছেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের পটুয়াখালী জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান বাদল। এ সময় তিনি বলেছেন, ‘বড় বড় আওয়ামী লীগ নেতারা এখনো নিজ বাড়িতে ঘুমাচ্ছেন, আর আমরা বাড়ি ছাড়া। তারা পয়সা দিতে পারে দেইখা কি পটুয়াখালী থাকতে পারে?’
বুধবার (২৩ এপ্রিল) ফেসবুকে লাইভ করে তিনি এসব কথা বলেন। তবে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) তার এ লাইভটি আলোচনায় আসে।
গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এই নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান বাদল।
তিনি ফেসবুকে তার ব্যক্তিগত প্রোফাইল থেকে ৭ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডের লাইভে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পটুয়াখালীর অন্য দলের লোকজন কেন বড় কোনো নেতাদের মারে না, বা তাদের বাসা-বাড়িতে কেন হামলা করে না? সবসময় কেন ছাত্রলীগের ওপর হামলা হবে? আমাদের মতো লোকজনের ওপরে হামলা করবে, আমাদের বাসা-বাড়িতে হামলা করবে কেন? আমরা তো আওয়ামী লীগ থেকে একটা টাকাও ইনকাম করিনি। বরং নিজেদের টাকা খরচ করে মিছিল-মিটিং করেছি। ছাত্রলীগের যারা ছিল তারা কেউ ইনকাম করতে পারে নাই একমাত্র মূল প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারি ছাড়া। যারা আমাদের মতো নেতা আছে বা আমাদের থেকে ছোট আছে তাদের তো ছাত্রলীগ থেকে ২ পয়সার বেনিফিট হয়নি।
তিনি বলেন, যারা বাসস্ট্যান্ড থেকে কোটি কোটি টাকা কামাইছে, যারা এলজিইডি থেকে কোটি কোটি টাকা কামাইছে, যারা পিডব্লিউডি থেকে কোটি কোটি টাকা কামাইছে, কে কয়টা কাজ পাইছে তাদের হয়রানি করেন, তাদের বাসায় হামলা করেন, তাদের থেকে টাকা নেন। তাদের মারেন। বাচ্চাদের ওপরে হামলা করতে হবে কেন? আমাদের ওপরে হামলা করতে হবে কেন? বড় বড় নেতারা শহরে রয়েছে, বাসায় ঘুমাচ্ছে, আর আমরা বাসা-বাড়ি ছাড়া।
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের এই নেতা আরও বলেন, জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগের সভাপতি-সেক্রেটারিসহ অনেক বড় নেতাদের বাসায় কোনো হামলা হয়নি। আর আমরা বাসা-বাড়ি ছাড়া। ৫ আগস্টের আগে আমরা ছাত্রদলের কোনো নেতাকর্মীদের কোনো ধরনের ক্ষতি করিনি।
নিষিদ্ধ ঘোষিত জেলা ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান বাদলের এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর ও সাধারণ সম্পাদক ভিপি আব্দুল মান্নানের মোবাইল ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরগুলো বন্ধ পাওয়া গেছে।
মন্তব্য করুন