খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:০২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মাঠের মধ্যে পড়ে আছে ৪৭ লাখ টাকার সেতু

মাঠের মধ্যে পড়ে আছে অব্যবহৃত সেতু। ছবি : কালবেলা
মাঠের মধ্যে পড়ে আছে অব্যবহৃত সেতু। ছবি : কালবেলা

দিনাজপুরের খানসামায় কালামাটিয়া নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি আট বছর ধরে সংযোগ সড়কহীন অবস্থায় পড়ে আছে। ফলে আশপাশের ১০টি গ্রামের হাজারো মানুষ প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে কাঠ ও বাঁশের তৈরি অস্থায়ী সাঁকো দিয়ে চলাচল করছেন।

জানা যায়, ২০১৪ সালের ১০ মে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় প্রায় ৪৭ লাখ ৪২ হাজার ৭১৮ টাকা ব্যয়ে আলোকঝাড়ি ইউনিয়নের বাসুলী গ্রামে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সেতুটির উদ্বোধন করেন তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। নির্মাণের তিন বছরের মধ্যেই ২০১৭ সালের বন্যায় সেতুটির একটি পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙে যায়। এরপর দীর্ঘ আট বছরেও সেই সড়ক পুনর্গঠন করা হয়নি।

বর্তমানে সেতুর একটি পাশ ব্যবহারযোগ্য থাকলেও অপর পাশে প্রায় ৫০-৬০ ফুট দৈর্ঘ্যের সংযোগ সড়ক নেই। ফলে সাধারণ মানুষ বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরি অস্থায়ী সাঁকো ব্যবহার করে পারাপার হচ্ছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নুর ইসলাম বলেন, সেতু আছে, কিন্তু রাস্তা নেই। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে হাঁটতে হয় এই সাঁকো দিয়ে।

গ্রামবাসী মহির উদ্দিন বলেন, দশ গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র পথ এটি। রাস্তা না থাকায় পুরো সেতুটাই অকেজো হয়ে পড়ে আছে।

ভ্যানচালক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সেতু দিয়ে ভ্যান নেওয়া যায় না। রোগী বা মালপত্র থাকলে মাঝপথে থেমে যেতে হয়। এরপর নামিয়ে পায়ে হেঁটে পার করাতে হয়। এই কষ্ট প্রতিদিন করি, কিন্তু কেউ দেখে না। বর্ষা আসলে সাঁকোতেও চলা যায় না।

গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সেতুটি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, এরপরেও কোনো দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়নি।

এ বিষয়ে খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান সরকার বলেন, টেন্ডারের কাজ চলমান। টেন্ডার হলেই কাজ শুরু হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সব রেকর্ড ভেঙে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ, বুধবার থেকে কার্যকর

ডাকসু জিএস ও এজিএসের বাগদান কাল

ডাকসু জিএস ফরহাদের বাগদান বুধবার, পাত্রী কে?

২৫ ডিসেম্বরের পর মিত্রদের নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বিএনপি

গণহত্যা মামলার আসামি, তবু অধরা জাপার আনিস

খালেদা জিয়ার আসনে এবার বাবা-ছেলের মনোনয়ন সংগ্রহ

তারেক রহমানের সংবর্ধনায় কয়েক হাজার বোতল পানি সরবরাহ করবেন শিপলু

হাদি হত্যার প্রধান আসামি ফয়সালের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

প্রায় ২ বছর পর উৎপাদনে যমুনা সার

জামাল হায়দারের নেতৃত্বে ১২ দলীয় জোট ঐক্যবদ্ধ

১০

রাতের আঁধারে শত শত লাউ গাছ কেটে দিল দুর্বৃত্তরা

১১

উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন হচ্ছে, এমন তথ্য জানা নেই : মন্ত্রিপরিষদ সচিব

১২

প্রাথমিকের ৬৫ হাজার প্রধান শিক্ষক পেলেন গেজেটেড মর্যাদা

১৩

২৫ ডিসেম্বরের কর্মসূচি জনগণের, শুধু বিএনপির নয় : রবি

১৪

চিলমারীতে জেঁকে বসেছে শীত, আগুন পোহাতে সতর্কতা

১৫

দরজা আটকে বসতঘরে আগুন, অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা ৮ জনের

১৬

গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়া মার্কেটে উচ্ছেদ অভিযানে ডিএসসিসির কর্মকর্তাদের ওপর হামলা

১৭

‘দিপু হত্যাকাণ্ড একটি নৃশংস অপরাধ এটা কোনো অজুহাত রাখে না’

১৮

‘ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সরকার কাজ করছে’

১৯

বাংলাদেশে অধ্যয়নরত ভারতীয়দের নিরাপত্তায় মোদির জরুরি হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি

২০
X