কুমিল্লার তিতাস উপজেলার বাতাকান্দি সেবা মাল্টিমিডিয়া স্কুলের সহকারী শিক্ষক রাহাতুল ইসলাম ওরফে সৌরভকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১২ মে) দুপুরে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে রোববার (১১ মে) রাতে বাতাকান্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার রাহাতুল ইসলাম সৌরভ বাতাকান্দি বাজার এলাকার বাসিন্দা। তিনি কুমিল্লার হোমনা ডিগ্রি কলেজের ডিগ্রি শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ও সেবা মাল্টিমিডিয়া স্কুলের সহকারী শিক্ষক।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ফারহান ইসলাম রোহান (৭) তিতাস উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আকালিয়া গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে।
জানা গেছে, ফারহান ইসলাম রোহান সেবা মাল্টিমিডিয়া স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত। শিক্ষক রাহাতুল ক্লাসে মুঠোফোনে কথা বলছিলেন। ফারহানসহ ক্লাসের শিশু শিক্ষার্থীরা হইচই করলে শিক্ষক রাহাতুল ইসলাম ওরফে সৌরভ প্রচণ্ড রেগে যান। তিনি প্রথমে স্কেল দিয়ে ফারহানের পিঠে বাড়ি দেন। এতে স্কেল ভেঙে যায়। শিক্ষক নিজের জায়গায় ফিরে যাওয়ার পরও হইচই বন্ধ হচ্ছিল না। তখন তিনি আরও রেগে গিয়ে ভাঙা স্কেলটি ফারহানের দিকে ছুড়ে মারেন। স্কেলটি ফারহানের ডান চোখে গিয়ে লাগে। ঘটনার ৫ দিন পর গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর শিক্ষক রাহাতুলের বিরুদ্ধে তিতাস থানায় মামলা করেন ফারহানের মা মায়া আক্তার।
ফারহানের মা মায়া আক্তার বলেন, গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর স্কুলশিক্ষক রাহাতুল ইসলাম ওরফে সৌরভের স্কেলের আঘাতে আমার ছেলে রোহানের ডান চোখ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চিকিৎসার জন্য গত আট মাস ধরে ছেলেকে নিয়ে দেশ-বিদেশে ছোটাছুটি করছি। ছেলের চোখে দুবার অস্ত্রোপচার হয়েছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন, ডান চোখের দৃষ্টিশক্তি চলে গেছে। বাঁ চোখের আলো শতকরা ১০ ভাগ কমেছে।
তিতাস থানার ওসি মো. শহীদ উল্যাহ বলেন, শিক্ষকের স্কেলের আঘাতে সাত বছরের শিক্ষার্থীর চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মামলা করেন শিশু শিক্ষার্থীর মা। তাকে গ্রেপ্তারে একাধিকবার অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। অবশেষে স্কেলের আঘাতে শিক্ষার্থীর চোখ নষ্ট করার অভিযোগে এজাহারভুক্ত প্রধান আসামিকে আট মাস পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন