কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে ভেলপুরি খেয়ে শিশুসহ শতাধিক মানুষ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তিসহ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। অসুস্থ রোগীরা উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন অঞ্চলের বাসিন্দা। তবে এর মধ্যে অনেকেই এখন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
শুক্রবার (৯ মে) বিকেল থেকে শনিবার (১০ মে) বিকেল পর্যন্ত অসুস্থ হওয়া এসব রোগীদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তিসহ প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, ভেলপুরি বিক্রেতা লিটন দাস ভ্রাম্যমাণ দোকান নিয়ে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে দীর্ঘদিন ধরে ভেলপুরি বিক্রি করে আসছিলেন। অন্যান্য দিনের মতো শুক্রবার তিনি উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ভেলপুরি বিক্রি করেন। তার ওই ভেলপুরি খেয়ে ওই ইউনিয়নের বিভিন্ন অঞ্চলের শিশুসহ শতাধিক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন।
অসুস্থ রোগীদের মধ্যে ৫২ জনকে স্থানীয় মাধবপুর মাতৃসেবা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তিসহ প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ছাড়া অন্যান্য রোগীদের বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়। অসুস্থদের মধ্যে অনেকেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এদিকে এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ভেলপুরি বিক্রেতা লিটন দাস পালিয়ে যান।
অসুস্থ কামাল হোসেন বলেন, লিটন দাসের ভেলপুরি আগেও অনেকবার খেয়েছি। এরকম আর কখনো হয়নি। এবার তার কাছ থেকে ভেলপুরি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ি। তবে ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ খেয়ে এখন আমি অনেকটা সুস্থ।
ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শুক্রবার বিকেলে ভেলপুরি খেয়েছি। সন্ধ্যার পর থেকে পেট ব্যথা শুরু হয়। এর কিছুক্ষণ পর কয়েকবার বমি হয়। পরে স্থানীয় ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে খাই। রাতটা কোনোভাবে কাটলেও সকালে স্থানীয় হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিই। এখন আমি অনেকটা সুস্থ বোধ করছি।
মাধবপুর মাতৃসেবা জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আরিফুল ইসলাম বলেন, ফুড পয়জনিংয়ের কারণে এ অবস্থা হয়েছে। বেশিরভাগ রোগীর পেট ব্যথা, জ্বর, পাতলা পায়খানা ও বমি নিয়ে হাসপাতালে আসেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করে স্যালাইনসহ ওষুধপত্র দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে কিছু কিছু রোগীকে ছাড়পত্র দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে শিশু ও গর্ভবতী নারীসহ গুরুতর কিছু রোগী রয়েছে।
ব্রাহ্মণপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
মন্তব্য করুন