সংবাদ প্রকাশের পর সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সরকারি অনুদানের তালিকায় নাম থাকার পরও গরু না পাওয়া ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের সেই দুই সদস্য বরাদ্দকৃত গরু দুটি ফেরত পেয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে উদ্ধার করা ওই গরু দুটি তাড়াশ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আমিনুল ইসলাম অনুদানের গরু দুটি বুঝে নেন।
ভুক্তভোগীরা হলেন- উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের ক্ষিরপোতা গ্রামের বাসুদেব সরকারের স্ত্রী সবিতা রানী ও তালম ইউনিয়নের মানিক চাপড় গ্রামের ক্ষিতীশ তির্কী।
এর আগে ১২ মে কালবেলা পত্রিকায় ‘তালিকায় নাম পরিবর্তন করে গরু বিতরণ’ শিরোনামে ও আরও কয়েকটি স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর সংশ্লিষ্ট বিভাগ নড়েচড়ে বসেন। তারা অনুসন্ধান করে গরুগুলো খুঁজে বের করে প্রকৃত অনুদানের গরুর দাবিদার সবিতা রানী ও ক্ষিতীশ তির্কীকে ফেরত দেন।
তাড়াশ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ এপ্রিল বুধবার সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় সরকারি অর্থায়নে সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের আর্থসামাজিক ও জীবন মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্বাচিত ৯০ জন সুফলভোগীদের মাঝে প্যাকেজভিত্তিক বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়। আর সেখানেই গরু বিতরণে ঘটে ভুতুড়ে ঘটনা।
এদিকে অনুদানের গরু ফেরত পেয়ে সবিতা রানী ও ক্ষিতীশ তির্কী জানান, তারা খুশি এবং ন্যায্যতার ভিত্তিতে ১২ দিন পরে হলেও গরু ফেরত পাওয়ায় ক্ষেত্রে যারা কাজ করেছেন তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আমিনুল ইসলাম জানান, গত এপ্রিলের ৩০ তারিখে গরু বিতরণকালে আমাদের অগোচরে যারা গরু দুটি নিয়ে গিয়েছিল তাদের অনুসন্ধান করে আমরা বের করতে সক্ষম হই। পরে তাদের কাছ থেকে গরু নিয়ে এসে অনুদানের গরুর প্রকৃত দাবিদার আদিবাসী সম্প্রদায়ের সদস্য সবিতা রানী ও ক্ষিতীশ তির্কীকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যারা অবৈধভাবে গরু নিয়েছিলেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
মন্তব্য করুন