‘হামার স্বামীকে হামি কী জবাব দিব, বলেছিল গরু দেখে রাখতে। কেন হামার এত বড় সর্বনাশ হলো।’ ঠিক এভাবে বিলাপ করতে করতে মূর্ছা যাচ্ছিলেন গৃহবধূ কিমারা বেগম। তার কান্না কিছুতেই থামছে না। বাড়ির ৩টি গরু একসঙ্গে মারা গেছে। এই গরুগুলোই ছিল তার পরিবারের সহায় সম্বল।
রোববার (০৪ মে) চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা বিনোদপুর ইউপির ছয়ঘরিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো রোববার সকাল ৯টার দিকে সুস্থ সবল গরুকে ঘাস খেতে দিয়েছিলেন গৃহবধূ কিমারা বেগম। এরপর বেলা ১১টার দিকে গিয়ে দেখতে পান ৩টি গরু একসঙ্গে মরে পড়ে আছে। এ দৃশ্য দেখে তিনি চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করেন। এসময় তার কান্নাকাটি শুনে আশপাশের মানুষ এগিয়ে আসে। তারাও হতভম্ব হয়ে যায়।
ভুক্তভোগী কিমারা বেগমের স্বামী সাদিকুল ইসলাম ঘটনার সময় ক্ষেতে ধান কাটতে গিয়েছিলেন। কিমারা জানান, ৩টি গাভীই সন্তানসম্ভবা ছিল। স্বামী অন্য কাজে ব্যস্ত থাকে বিধায় তিনি গরু ৩টির যত্ন করেন। সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে দুটি গাভীর বাচ্চা হওয়ার কথা। অপরটি সাত মাসের গর্ভবতী।
জানা গেছে, এই গরু ৩টির আনুমানিক মূল্য প্রায় তিন লাখ টাকার উপরে। এছাড়াও ওই গরুর দুধ বিক্রি করে সংসার চলত ভুক্তভোগী পরিবারটির।
এদিকে গরুর আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনায় শিবগঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। গরুর মৃত্যুর প্রাথমিক কারণ হিসেবে কচি ঘাস খেয়ে ‘নাইট্রেট পয়জনিং’ বলে ধারণা এই কর্মকর্তার।
তিনি জানান, ভিসেরা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার পর বিস্তারিত জানা যাবে।
মন্তব্য করুন