লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ মে ২০২৫, ০৬:৫০ পিএম
আপডেট : ১৭ মে ২০২৫, ০৭:০৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বাসরঘর থেকে টাকা-স্বর্ণালংকার নিয়ে পালাল নববধূ

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

লালমনিরহাটের আদিতমারীতে বাসরঘর থেকে টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়েছে রুমানা খাতুন নামে এক নববধূ। শুক্রবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী স্বামী হোসেন আলী।

হোসেন আলী জেলার আদিতমারী উপজেলার তালুক পলাশী গ্রামের খিজির মামুদের ছেলে। নববধূ রুমানা খাতুন (৩০) একই উপজেলার সাপ্টিবাড়ি এলাকার এনছার আলীর মেয়ে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, এক বছর আগে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ায় দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি নেন কৃষক হোসেন আলী। ঘটক জোবাইদুল ইসলাম ও রবিউল ইসলাম বিয়ে দেওয়ার কথা বলে বুধবার (১৪ মে) হোসেন আলীকে লালমনিরহাট শহরে নিয়ে যান। সেখানে পাত্রী হিসেবে স্বামী পরিত্যক্তা রুমানা খাতুন নামে একজনকে দেখালে তার পছন্দ হয় এবং তাৎক্ষণিক তাদের কাজী আমজাদ হোসেনের নিকাহ রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে এক লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে দেন।

বিয়ের পর নববধূ রুমানাকে নিয়ে রাতে বাড়িতে ফিরতে চাইলে তাদের সঙ্গে ঘটক জোবাইদুলের মেয়েকেও পাঠানো হয়। পরদিন সকালে স্বামী হোসেন আলীর ঘরে থাকা তামাক বিক্রির এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা ও দেড় ভড়ি স্বর্ণালংকার নিয়ে ঘটকের মেয়েসহ নববধূ পালিয়ে যায়। পরে নববধূর মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় সন্দেহ হয় বর হোসেন আলীর। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে ঘরে গচ্ছিত থাকা টাকা ও স্বর্ণালংকার নেই।

ঘটনার পর ঘটকের কাছে গেলে তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি। বিয়ের নকল চাইতে গেলে নিকাহ রেজিস্টার কাজী আমজাদ হোসেন সরকার বিয়ের কথা অস্বীকার করেন। বর হোসেন আলী বুঝতে পারেন টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করতেই এ চোর সিন্ডিকেট বিয়ের নাটক তৈরি করেন।

অবশেষে টাকা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার করতে নিকাহ রেজিস্টার ও নববধূ রুমানাসহ চার জনের বিরুদ্ধে শুক্রবার (১৬ মে) বিকেলে আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন বর হোসেন আলী। অভিযুক্তরা হলেন, নববধূ রুমানা খাতুন, বিয়ের ঘটক একই এলাকার তালুক পলাশী গ্রামের জোবাইদুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম ও লালমনিরহাট পৌরসভার নিকাহ রেজিস্টার কাজী আমজাদ হোসেন সরকার।

বর হোসেন আলী জানান, অভিযুক্তরা জানতো বাড়িতে তামাক বিক্রির টাকা ও স্বর্ণালংকার ছিল। চুরি করতে তারা বিয়ের নাটক তৈরি করে আমার বাড়িতে স্ত্রী হিসেবে পাঠায় রুমানা ও ঘটকের মেয়েকে। বিয়ে দেওয়ার বখশিশ হিসেবে ঘটক জোবাইদুলকে টাকাও দিয়েছি ১০ হাজার।

স্থানীয়রা জানান, রুমানাসহ ওই চক্রটির কাজই হলো বিয়ের নামে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও জিম্মি করে অর্থ আদায় করা। তাই ওই নারী স্থায়ীভাবে কোথাও বসবাস করে না।

অভিযুক্ত ঘটক জোবাইদুলকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। নববধূ রুমানা খাতুনের ব্যবহৃত নম্বরটি বন্ধ থাকায় তার সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

লালমনিরহাট পৌরসভার নিকাহ রেজিস্টার কাজী আমজাদ হোসেন সরকার বলেন, রুমানা ও হোসেন আলী নামে কারও বিবাহ রেজিস্ট্রি করিনি।

আদিতমারী থানার ওসি আলী আকবর বলেন, ঘটনাটি চুরি চক্রের নতুন কোনো কৌশল হতে পারে। অভিযোগ গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

টিকাটুলিতে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট

বিয়ের প্রলোভনে ‘ধর্ষণ’, পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার

পরীক্ষায় নকল সরবরাহ করতে যান ছাত্রদল নেতা, অতঃপর...

ছাত্রীদের হলে পুরুষ স্টাফ দিয়ে তল্লাশি

দাম কমলো ইন্টারনেটের

ইসরায়েলে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন ব্যবস্থা কতটা উপযোগী, ভাবার অনুরোধ তারেক রহমানের

বৈষম্যবিরোধী নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ

জুলাই নিয়ে পুলিশ সদস্যের ‘আপত্তিকর’ পোস্ট, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

শাহজালালে বোয়িং বিমানে লাগেজ ট্রলির আঘাত

১০

আখতারকে রংপুর-৪ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

১১

মধ্যরাতে বরখাস্ত চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার

১২

‘একসঙ্গে সমুদ্রে নেমে তো গোসল করতে পারব না’

১৩

জুলাই যোদ্ধার তালিকায় এক ব্যক্তির নাম ২ জায়গায়

১৪

বিএনপির অনুষ্ঠানে অপ্রীতিকর ঘটনায় মির্জা ফখরুলের প্রতিবাদ

১৫

রাজধানীতে শ্রমজীবী মানুষের মাঝে লায়ন্স ক্লাবের খাবার বিতরণ

১৬

জামায়াত-গণঅধিকার পরিষদের মতবিনিময় / নির্বাচনী জোট গঠনে একমত

১৭

উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ, মাদ্রাসার সুপার কারাগারে

১৮

তারেক রহমান নেতৃত্ব না দিলে জুলাই আন্দোলন সফল হতো না : মুরাদ

১৯

চট্টগ্রাম নগরীতে ইউপিডিএফ সদস্য গ্রেপ্তার

২০
X