যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেছেন, অনির্বাচিত সরকার কখনও সব কিছুর সমাধান করতে পারে না। দেশবাসীর প্রত্যাশা, জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে একটি নির্বাচিত সরকার দেশ পরিচালনা করবে। সেই ভোট হতে হবে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও অবাধ।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাতে জয়পুরহাট চিনিকল মিলনায়তনে এক পর্যবেক্ষণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
আগামী ২৩ মে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের সমন্বয়ে বগুড়ায় অনুষ্ঠেয় তারুণ্যের ভাবনা শীর্ষক সেমিনার এবং ২৪ মে তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ সফলে জয়পুরহাট জেলা যুবদলের উদ্যোগে এ পর্যবেক্ষণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জয়পুরহাট জেলার পাঁচ উপজেলা ও পাঁচ পৌরসভা যুবদলের মাঠ পর্যায়ের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেয়।
মোনায়েম মুন্না বলেন, পতিত স্বৈরাচার গত ১৫ বছরে এ দেশের যুব সমাজকে নিজ স্বার্থে ব্যবহার করে তাদেরকে বিপথগামী করে ফেলেছে। যুবদলের তরুণরা নষ্ট হবে না। কোনো অসৎ কাজে জড়িত হবে না। তারা সাহস নিয়ে সততার সঙ্গে গণতন্ত্রের জন্য অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম করবে, নেতৃত্ব দিবে। আগামীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের পতন হলেও দেশে এখনও গণতন্ত্র পূর্ণ প্রতিষ্ঠা হয়নি। বিএনপি রাজপথে আছে। জনগণের ভোটের অধিকার লড়াই করে ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য তরুণ যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তুলতে হবে।
যুবদলের সভাপতি বলেন, জয়পুরহাটে যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। আগামী দিনে জয়পুরহাটে যেন যোগ্য নেতৃত্বের হাতে যুবদল পরিচালিত হয়, সেইভাবে কমিটি হবে। কোনো বড় ভাইয়ের কথায় কমিটি হবে না। সৎ, যোগ্যরাই দলের নেতৃত্ব পাবে।
সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নয়ন বলেন, বিএনপির ৩১ দফায় দেশ পরিচালনার কথা পরিষ্কারভাবে বলা আছে। সেখানে হিন্দু, মুসলিমসহ সকল মানুষের মৌলিক অধিকার ও কর্মসংস্থানের কথা রয়েছে। তরুণরা তাদের মেধার যোগ্যতায় কর্মসংস্থানের আওতায় আসবে, সেখানে কোনো দল-জাতি-ধর্ম দেখা হবে না। অতীতে তরুণরা কোনো বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করলে তারা বৈষম্যের শিকার হতেন।
তিনি আরও বলেন, আগামীতে ভোটের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে যেন কোনো বৈষম্য না থাকে, তা নিশ্চিত করা হবে। এখন একটাই দাবি- দেশে একটি সুষ্ঠু অবাধ স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। মানুষ ১৫ বছর তাদের ভোট দিতে পারেনি। সেই ভোটাধিকার মানুষকে ফিরিয়ে দিতে হবে।
নয়ন বলেন, জয়পুরহাটে যুবদলের কোনো পকেট কমিটি হবে না।
মাঠ পর্যায়ে যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত করায় সাংগঠনিক কার্যক্রম আরো গতিশীল করার জন্য স্থানীয় নেতৃবৃন্দ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সংগঠনের কমিটি গঠনের আহ্বান জানান কেন্দ্রীয় নেতাদের।
জয়পুরহাট জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক শুভ্রের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আদনান মুক্তাদিরের সঞ্চালনায় পর্যবেক্ষণ সভায় যুবদলের কেন্দ্রীয় সাবেক সদস্য মাহমুদুল সালেহীনসহ অন্যরা বক্তব্য দেন।
মন্তব্য করুন