জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, যে দুজন উপদেষ্টার পদত্যাগের কথা বলা হচ্ছে, তারা গণঅভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে এ সরকারে প্রতিনিধিত্ব করছেন। তারা কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি বা এনসিপির প্রতিনিধি হিসেবে এ সরকারে নেই।
তিনি বলেন, তারা গণঅভ্যুত্থানের সবার প্রতিনিধি হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারে প্রতিনিধিত্ব করছেন। তাদের একটা দলীয় পরিচয়ে পরিচিত করানোর মধ্য দিয়ে তাদের যে ট্যাগ দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে, এ বিষয়টিকে আমরা নিন্দা জানিয়েছি।
রোববার (২৫ মে) সকালে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলায় সাংগঠনিক সফর কর্মসূচি শুরুর আগে নগরীর বিপ্লব উদ্যানের জমায়েতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব বলেন তিনি।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, গণঅভ্যুত্থানের প্রতিনিধির বিষয়টি প্রাধান্য দিয়ে তাদের যেন সম্মানহানি করা না হয়। প্রতিনিয়ত তাদের যেভাবে এননিপির সঙ্গে অ্যালাইন করা হচ্ছে, আমরা সে বিষয়ের নিন্দা জানিয়েছি।
জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তির মধ্যে বিভেদ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, বিভেদ মানে রাজনৈতিক দলের মধ্যে পলিসির জায়গা থেকে মতপার্থক্য থাকবেই। সংকটকালীন সময় যখন আসে, এ বিভেদটাই কাটিয়ে উঠে আমরা আবার ঐক্যবদ্ধ হই, এটাই আমাদের জাতীয় চরিত্র। তো সেই জায়গা থেকে বিভেদ-মতপার্থক্য যেমন চলমান রয়েছে, আবার জাতীয় সংকট উত্তরণের সামগ্রিক প্রচেষ্টাও অব্যাহত রয়েছে।
এনসিপির এ নেতা বলেন, যখনই সংকট এসেছে, যখনই দেশি-বিদেশি কিংবা অভ্যন্তরীণ দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র হয়েছে, আমরা সামগ্রিকভাবে গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দল এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক শক্তি ঐক্যবদ্ধভাবেই সেগুলো আমরা প্রতিহত করছি।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গতকাল আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছি যে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচার, সংস্কার এবং নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ করতে হবে।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, এ সার্বিক বিষয়গুলোতে জনগণের যে মতামত রয়েছে বা জনগণের যে প্রত্যাশা রয়েছে, জন আকাঙ্ক্ষার বিষয়টি জানার জন্যই আমরা এ কর্মসূচি শুরু করেছি। আমরা চট্টগ্রাম দক্ষিণ থেকে শুরু করেছি, সারা দেশে এনসিপির পক্ষ থেকে মানুষের কাছে যাওয়া অব্যাহত থাকবে। বিচার, সংস্কার এবং আগামী নির্বাচন নিয়ে আমার দল কী ভাবছে, সেটা মানুষকে জানানো এবং মানুষের চিন্তাগুলো আমরা জানা, কর্মসূচির মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা সেটা প্রকাশ করছি।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাংগঠনিক সফরে মোট ৯টি স্থানে জাতীয় নাগরিক পার্টির পথসভা করার কথা রয়েছে। এগুলো হলো- কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জ্যারটেক, আনোয়ারার চাতুরী চৌমুহনী, বাঁশখালী উপজেলা চত্বর, সাতকানিয়ার কেরাণীহাট, লোহাগাড়ার আমিরাবাদ, দোহাজারি পৌরসভা, চন্দনাইশ পৌরসভা, পটিয়া কলেজ গেইট এবং বোয়ালখালী উপজেলার ফুলতল।
সাংগঠনিক সফরে হাসনাত আবদুল্লাহর সঙ্গে আছেন, এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম সদস্য সচিব মীর আরশাদুল হক, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা আলম মিতু ও মো. আতাউল্লাহ এবং সংগঠক আরমান হোসেন।
মন্তব্য করুন