কমিটি ও নেতৃত্বের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর জেলা কমিটির সংগঠক তৌফিক আহমেদ হৃদয় পদত্যাগ করেছেন।
রোববার (২৫ মে) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া একটি স্ট্যাটাসে তিনি এ ঘোষণা দেন।
স্ট্যাটাসে হৃদয় বলেন, সংগঠনের নিয়ম অনুযায়ী কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকলে সদস্যপদ গ্রহণযোগ্য নয়। অথচ বাস্তবে কিছু গোপন রাজনৈতিক কর্মী, আওয়ামী ঘরানার গুপ্তচর এবং সাবেক গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সিন্ডিকেট রংপুর জেলা কমিটি দখল করে নিয়েছে। এর ফলে গণমানুষের আন্দোলন এখন একটি ‘পকেট কমিটিতে’ পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে, বৈছাআ যে প্ল্যাটফর্ম আবু সাঈদ, মুগ্ধ, ওয়াসিমসহ হাজার শহীদ ও আহত যোদ্ধার রক্তের ঋণে গড়া- তা দ্রুতই একটি সুবিধাবাদী গোষ্ঠীর হাতে বন্দি হয়ে পড়ে। যেসব সদস্য আন্দোলনেই ছিল না- যারা হঠাৎ আকাশ থেকে নেমে আসে, কোনো এক অজানা জাদুর বলে তারাই রাতারাতি আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব হয়ে ওঠে। কোনো স্বচ্ছ প্রক্রিয়া ছাড়াই হাস্যকর এই কমিটি প্রথম থেকেই শহরজুড়ে শিক্ষার্থী মহলে অবাঞ্ছিত ঘোষিত হয়।’
স্ট্যাটাসের শেষে তিনি বলেন, ‘যারা আন্দোলনের রক্ত দিয়ে কেনা ব্যানারকে মামলা–বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সরকারি অফিসে দালালি ও ক্ষমতা দখলের সিঁড়ি বানিয়েছে, তাদের বিচারও একদিন হবে ইনশাআল্লাহ। যারা শহীদের রক্তকে বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে; তাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত জুলাই চলবে। আমরা জান দেব, জুলাই দেব না।’
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির আহ্বায়ক ইমরান আহমেদ বলেন, সংগঠনের অভ্যন্তরীণ ফোরামে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। এ অভিযোগগুলো পরিকল্পিতভাবে বাইরে থেকে তোলা হচ্ছে।
এর আগে গত ১৮ মে জেলা ও মহানগর কমিটির শীর্ষ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ১৬ নেতা পদত্যাগ করেন।
মন্তব্য করুন