চলছিল ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান, আমন্ত্রিত অতিথিদের খাবার পরিবেশন করাও হয়েছে। আনন্দঘন সেই মুহূর্তে হঠাৎ হাজির পুলিশ। অভিবাসন আইনে দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় বরের বাবা দুলাল মৃধাকে। ঘটনাটি বরগুনা সদর উপজেলার।
শুক্রবার (৩০ মে) দুপুরে বরগুনা পৌর শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের টাউনহল সিরাজুদ্দীন সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেওয়ান জগলুল হাসান গ্রেপ্তারের বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিয়ের বর সদর উপজেলার ৬ নম্বর বুড়িরচর ইউনিয়নের হাজারবিঘা ছোট লবণগোলা এলাকার দুলাল মৃধার ছেলে জাহিদ হোসেন একজন কম্বোডিয়া প্রবাসী। সে সুবাদে ৮ নম্বর সদর ইউনিয়নের বাঁশবুনিয়া এলাকার তাদের নিকট আত্মীয় শহিদ হাং ও আমেনা বেগম দম্পতির ছেলে আরিফুল ইসলামকে কিছুদিন আগে কম্বোডিয়ায় নেওয়ার পরে কাজ পেতে বিপত্তির ঘটনায় বৈদেশিক কর্মসংস্থান অভিবাসন আইনে আদালতে মামলা করেন আমেনা বেগম। সে মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুলাল মৃধাকে। এ মামলায় বর জাহিদ হাসান, তার মা তাপশি আক্তার ও কনে খাদিজা আক্তার মিতু এজাহারভুক্ত আসামি হওয়ায় তারা এখন পলাতক রয়েছেন।
নালিশি দরখাস্তে মামলার বাদী আমেনা বেগম উল্লেখ করেন, ৭ লাখ টাকার বিনিময়ে ছেলে আরিফুল ইসলামকে কম্বোডিয়ায় নিয়ে মাসে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা বেতনে চাকরির দেওয়ার আশ্বাস দেয় আসামিরা। কথা মতো ২-৪ নম্বর আসামিদের কাছে তিন কিস্তিতে সমুদয় ৭ লাখ টাকা পরিশোধ করলে চলতি বছরের ১৬ মে কম্বোডিয়ায় নেয় মামলার ১ নম্বর আসামি জাহিদ হোসেন। পরে কম্বোডিয়ায় নিয়ে আরিফুলকে জিম্মি করে এবং মারধরের ভয় দেখিয়ে আরও ২ লাখ টাকা দাবি করে আসামিরা। আসামিদের বাড়িতে গিয়ে ঘটনার বিষয় জানালে তারা বাদীর কাছ থেকে নেওয়া টাকার কথা অস্বীকার করে। তাই বিচার চেয়ে বরগুনা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন বাদী আমেনা বেগম।
মামলার দরখাস্তটি আমলে নিয়ে বরগুনা থানাকে এফআইআর দেন আদালত। সে মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে মামলার দুই নম্বর আসামি দুলাল মৃধাকে।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেওয়ান জগলুল হাসান কালবেলাকে বলেন, দুলাল মৃধা অভিবাসন আইনে দায়ের করা মামলার আসামি। তার ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম চলমান আছে।
মন্তব্য করুন