সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে পাহাড়ি ঢলের পানিতে বাঁধের সঙ্গে ভেসে গেছে চারটি পরিবারের ঘরবাড়ি। ঝুঁকিতে রয়েছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনসহ আরও পাঁচ-ছয়টি পরিবার।
শনিবার (৩১ মে) সকালে উপজেলার বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নের বড়দল পুরান হাটি ও নতুন হাটির মাঝের খালটি (বাঁধ) পানির প্রবল স্রোতে ভেঙে গেলে বসতবাড়ি ভেসে যায়।
স্থানীয়রা জানান, সারাদিনে পানির স্রোতে বাঁধ সংলগ্ন মাফিক মিয়া, আফলাকুল, শহিদ উদ্দিন ও জসিম উদ্দিনের ঘরবাড়ি ভেঙে নিয়ে যায়। বাঁধের অপর পাশে থাকা বড়দল নতুন হাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের নিচের মাটি সরে যাওয়ায় ভবনটিও ঝুঁকিতে রয়েছে। এ ছাড়া পানির প্রবল স্রোতের মুখে মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে আরও পাঁচ-ছয়টি পরিবার।
বড়দল পুরান হাটি গ্রামের ইউপি সদস্য জুয়েল মিয়া বলেন, টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানি হাওরে প্রবেশের জন্য পর্যাপ্ত প্রবেশপথ না থাকায় বড়দল নতুন হাটি ও পুরান হাটির মাঝের খাল নামের বাঁধটি ঢলের পানিতে ভেঙে যায়। পানির স্রোত বেশি থাকায় খালের পাড়ের পুরান হাটি অংশের মাসুক মিয়া, আফলাকুল, শহিদ উদ্দিন ও জসিম উদ্দিন এ চারটি পরিবারের বসতবাড়ি ভেঙে নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগীরা নিরাপদ সরে গেলেও আসবাবপত্রসহ বাড়িগুলো ভেসে গেছে। এতে পরিবার চারটি প্রায় নিঃস্ব হয়ে গেছে। এ ছাড়া আরও ৫/৬টি পরিবার মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। তারাও এখানে থাকতে পারবে না। বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে হবে।
জুয়েল মিয়া বলেন, হাওরগুলোতে যদি পানি প্রবেশ ও নিষ্কাশনের জন্য একাধিক স্লুইসগেটের ব্যবস্থা না করা হয় তাহলে যেকোনো স্থায়ী বাঁধ ভেঙে সাধারণ মানুষের ক্ষয়ক্ষতি হবে।
ভুক্তভোগীরা জানান, পানির চাপে বাঁধটি ভেঙে যায়। পরে সারা দিনে পানির প্রবল স্রোত আমাদের ঘরবাড়ি ভেঙে নিয়ে যায়। আমরা এখন বাড়িঘর হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমাদের এখন মাথা গোঁজার জায়গা নাই। ছেলেমেয়ে নিয়ে কোথায় যাব, কি করব মাথায় কাজ করছে না।
বড়দল নতুন হাটি গ্রামের ইউপি সদস্য সাময়ুন কবির বলেন, ঢলের পানিতে বড়দল নতুন হাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন বাঁধটি ভেঙে গিয়ে আমাদের বিদ্যালয় ভবনের নিচের মাটি সরে গেছে। এতে ভবনটি মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল হাসেম বলেন, বিষয়টি জেনেছি। আজ সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
মন্তব্য করুন