সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে ‘তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের’ অভিযোগ উঠেছে নোয়াখালীর সুবর্ণচরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাবেয়া আসফার সায়মার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তার অপসারণ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে উপজেলা বিএনপিসহ অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সোমবার (৩ জুন) দুপুরে চরজব্বর থানার মোড়ে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নোয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য এনায়েত উল্যাহ বাবুল ও নুরুল ইসলাম আজাদসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তার কাছ থেকে এমন কটূক্তি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ও রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মন্তব্য করে ইউএনও নিজের সীমালঙ্ঘন করেছেন।
অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- সুবর্ণচর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন স্বপন, যুববিষয়ক সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, সুবর্ণচর উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব নুরুল হুদা, যুগ্ম আহ্বায়ক মহি উদ্দিন মহিম, আবুল খায়ের আকাশ, সুবর্ণচর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব এনায়েতুল ইসলাম, সুবর্ণচর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সাহাব উদ্দিন অনিক, সাবেক আহ্বায়ক আলী আহসান মোহাম্মদ তারেকসহ বিএনপি যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিকদলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সুবর্ণচর উপজেলার জনসাধারণ।
বক্তারা আরও বলেন, ঈদের পরে একটি সাংগঠনিক পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের জন্য উপজেলা হলরুম ব্যবহারের অনুমতির জন্য লিখিতভাবে আবেদন করা হলে ইউএনও অনুমতি না দিয়ে কটাক্ষ করে বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে বলুন অনুমতি দিতে। উনি যদি প্রধানমন্ত্রী হন তখন আসবেন অনুমতি নিতে।’ এমন মন্তব্যে নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
মানববন্ধন থেকে অবিলম্বে ইউএনও রাবেয়া আসফার সায়মার অপসারণ ও তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
মন্তব্য করুন