দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার প্রবেশপথ হিসেবে খ্যাত ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে। বৃহস্পতিবার (০৫ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকে এই রুটে দূরপাল্লার যানবাহনের অধিক চাপ বাড়তে থাকে। চাপ সামলাতে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজার মাওয়া প্রান্তে টোল আদায়ে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। ৮টি টোল বুথে নিরবচ্ছিন্ন টোল আদায় করা হলেও টোল প্লাজায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি অপেক্ষমাণ রয়েছে।
এদিকে টোল আদায়ে বিলম্ব হওয়ার কারণে এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহনে ধীরগতি দেখা দিয়েছে। মাওয়া প্রান্ত থেকে এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগর উপজেলার দোগাছি পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার এলাকায় যানবাহন চলছে ধীরগতিতে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি সহনীয় হয়ে আসতে শুরু করেছে।
জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা সেতুতে টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৯ লাখ ৬ হাজার ১৫০ টাকা। এ সময় উভয় প্রান্তে চলাচল করেছে ৩৭ হাজার ৪৬৫টি যানবাহন। মাওয়া প্রান্ত হয়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়েছে ২৪ হাজার ৯টি যানবাহন। জাজিরা প্রান্ত দিয়ে পাড়ি দিয়েছে ১৩ হাজার ৪৫৬টি যানবাহন।
পদ্মা সেতু টোল প্লাজার মাওয়া প্রান্তের ম্যানেজার আহমেদুল হক জানান, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২৩ জেলার মানুষের ঈদযাত্রা নিরবচ্ছিন্ন রাখতে টোল প্লাজার ৮টি বুথ সচল রয়েছে। পাশাপাশি মোটরসাইকেল পারাপারের জন্য আলাদা দুটি কাউন্টার রাখা হয়েছে। তবে প্রতিটি গাড়ি টোল দিয়ে পার হতে ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ড সময় লাগে। তাই অনেক সময় টোল প্লাজা এলাকায় গাড়ির চাপ দেখা যায়। কিন্তু তা স্বল্প সময়ের জন্য। সকালে থেকেই এ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজারের মতো মোটরসাইকেল পারাপার হয়েছে। মাওয়া প্রান্ত দিয়ে যানবাহন পার হয়েছে ১০ হাজারের উপরে।
মন্তব্য করুন