ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ঈদে ঘরমুখী মানুষ। এদিকে খোলা ট্রাকে বৃষ্টিতে ভিজে ছাতা মাথায় নিয়ে উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীরা বাড়ি ফিরছেন।
ভোর থেকে অতিরিক্ত গাড়ির চাপ ও মহাসড়কে বেশ কয়েক জায়গায় গাড়ি বিকল হওয়ার কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে অন্তত ৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে৷
বৃহস্পতিবার (০৫ জুন) ভোর থেকে মহাসড়কের টাঙ্গাইলের অংশে করটিয়া হাট বাইপাস থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
এতে ঈদে ঘরমুখো মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। মহাসড়কে যানজটের কারণে সকাল ৬টার পর থেকে যমুনা সেতু দিয়ে শুধু উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন পারাপার করা হয়।
বগুড়ার রাশেদ বলেন, গাজীপুর থেকে পরিবার নিয়ে বাস না পাওয়ায় খোলা ট্রাকে বাড়ি যাচ্ছি। ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টায় টাঙ্গাইলের রসুলপুর এলাম। মাঝে মধ্যে রোদ আবার হঠাৎ করেই বৃষ্টি নামে। এবারের মতো এত ভোগান্তি নিয়ে আর কোনো ঈদে করিনি। অন্য বছর পরিবার নিয়ে বাসে বাড়িতে গেছি। এবার বাস না পাওয়ার কারণে ট্রাকেই যাচ্ছি।
অন্য এক যাত্রী জাফর মিয়া বলেন, চৌরাস্তা থেকে টাঙ্গাইলে এলাম ৭ ঘণ্টায়। যানজট পেয়েছি চৌরাস্তা আর মির্জাপুরে। এ ছাড়া টাঙ্গাইল সদর থেকে যে যানজটে পড়েছি জানি না পঞ্চগড় যেতে কতক্ষণ লাগবে।
পুলিশ জানায়, যানজট নিরসনে কাজ করা হচ্ছে। হঠাৎ করে মহাসড়কে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে যমুনা দিয়ে সিরাজগঞ্জ অংশে গাড়িগুলো ঠিকমতো পারাপার হতে পারছে না। যার কারণে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ বলেন, অতিরিক্ত গাড়ির কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে যানজট নিরসনে আমরা নিরসলভাবে কাজ করছি।
মন্তব্য করুন