রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ জুন ২০২৫, ০৬:২৪ পিএম
আপডেট : ০৮ জুন ২০২৫, ০৭:২৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সৎ নেতৃত্ব এলে পাঁচ বছরেই দেশ বদলে যাবে : শফিকুর রহমান

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরসভা মিলনায়তনে বিভিন্ন পেশাজীবী প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বক্তব্য দেন ডা. শফিকুর রহমান। ছবি : কালবেলা
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরসভা মিলনায়তনে বিভিন্ন পেশাজীবী প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বক্তব্য দেন ডা. শফিকুর রহমান। ছবি : কালবেলা

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা একটা ভালো নির্বাচন আশা করছি। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সৎ নেতৃত্ব এলে পাঁচ বছরেই দেশ বদলে যাবে, ইনশাআল্লাহ। কেউ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করবেন না।

রোববার (৮ জুন) দুপুর ১২টায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরসভা মিলনায়তনে বিভিন্ন পেশাজীবী প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, শহীদদের রক্তের সঙ্গে কেউ বেইমানি করবেন না। শহীদদের রক্তের অমর্যাদা হয় এমন কোনো নির্বাচন আমরা দেখতে চাই না। শহীদদের রক্তের মর্যাদা রাখতে একটি সুন্দর, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অবশ্যই হতে হবে। নির্বাচনে বাইরের দেশের হস্তক্ষেপ বাংলাদেশের জনগণের কাম্য নয়। আমরাও অন্য দেশের কোনো বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। আমরা সবাইকে বন্ধু হিসেবে দেখতে চাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা একটা প্রতিহিংসা মুক্ত সমাজ দেখতে চাই। আমি এই উপজেলার সন্তান, আমার বিরুদ্ধেও যুদ্ধাপরাধের মামলা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। তখন আমার সেই বয়সও ছিল না। আমি সেই অর্থে কোনো সংগঠনের সঙ্গে মোটেই যুক্ত ছিলাম না। জামায়াতে ইসলামীর আমির হওয়ায় ওরা আমাকে যুদ্ধাপরাধী বানানোর চেষ্টা করেছিল। একবার দুবার নয়, অনেকবার বৃথা চেষ্টা করেছে। কিন্তু কুলাউড়ার একটা মানুষও তাদের কথায় সায় দেয়নি। আমি এই ঝণ আজীবন শোধ করতে পারবো না। আমি কুলাউড়াবাসীর কাছে চির কৃতজ্ঞ।

কারা আমাকে যুদ্ধাপরাধী বানাতে চেয়েছিল- সব জানি। কিন্তু প্রতিশোধ নেব না। প্রতিহিংসা আর প্রতিশোধ যদি নিতেই থাকি, তাহলে সমাজ একটা অসুরের সমাজে পরিণত হবে। একটা মানবিক সমাজ আর বানাতে পারবো না। তবে যারা অপরাধ করেছে তাদের ন্যায় বিচার হতেই হবে, এই দাবি আমাদের বলিষ্ঠ। এখানে কোনো ছাড় দেব না।

আমিরে জামায়াত আরও বলেন, দুর্নীতি আর সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে যদি সঠিক জায়গায় আঘাত দেওয়া যায়, তাহলে সব সিন্ডিকেট তছনছ হয়ে যাবে। দেশের বিদ্যমান সম্পদই বাংলাদেশকে বদলানোর জন্য যথেষ্ট। আমাদের কুশিক্ষার জায়গায় সুশিক্ষা ফিরিয়ে আনতে হবে। আকাশ অপসংস্কৃতির কারণে আমাদের পরিবারের কাঠামো প্রায় এলোমেলো হয়ে গেছে। দেশের শিক্ষা কারিকুলাম ও মডিউল যদি নৈতিকতার ভিত্তিতে তৈরি হয়, তাহলে শিক্ষা পূর্ণতা পাবে।

ভিক্ষুক থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ধনী ব্যক্তি পর্যন্ত সবাই ট্যাক্স দেয়। সেই ট্যাক্সের টাকা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ নানা উন্নয়নমূলক কাজে সরকার ব্যয় করে। তাদের দান-অনুদানে উচ্চ শিক্ষিত হয়ে আজ আমরা যারা এই জায়গায় এসেছি- আমরা সবাই জাতির কাছে দায়বদ্ধ। সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি ইট, বালি, পাথরের সঙ্গে এদেশের আঠারো কোটি মানুষের ঘাম জড়িত। এটা যদি শিক্ষিতদের মগজে প্রতিষ্ঠা করা যেত, তাহলে ঘুষ নেওয়ার সময় তাদের হাত-পা থর থর করে কাঁপতো। এই নৈতিক দায়বদ্ধতা যদি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় যুক্ত করতে পারি তাহলে আমাদের শিক্ষিত সমাজ জাতির সম্পদে পরিণত হবে।

বিভিন্ন পেশার বিপুল সংখ্যক প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত এই মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সিলেট মহানগর আমির ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মো. ফখরুল ইসলাম, জেলা নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রহমান, জেলা সেক্রেটারি মো. ইয়ামির আলী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জেলার সভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, ঢাকা পল্টন থানা আমির শাহীন আহমদ খান, জেলা সহকারী সেক্রেটারি আজিজ আহমদ কিবরিয়া, পৌর আমির হাফেজ তাজুল ইসলাম।

পেশাজীবী নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট ছালিক আহমদ চৌধুরী, আনিসুর রহমান, মনির উদ্দিন চৌধুরী, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মোহাম্মদ মাসুক উদ্দিন, মো. শফিক উদ্দিন, মোহাম্মদ শামসুল হক, অ্যাড. রবিউল ইসলাম, এনামুল ইসলাম, রাজানুর রহিম ইফতেখার, জেলা ছাত্রশিবির সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন, উপজেলা সভাপতি আতিকুর রহমান তারেক প্রমুখ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ত্রাণবাহী নৌযান আটকে দেওয়ার নির্দেশ ইসরায়েলের

ভারত থেকে মহিষ ফেরত আনল বিজিবি

১৭ বছর বয়সেই রিয়ালে যোগ দিচ্ছেন আর্জেন্টিনার বিস্ময়বালক

সচিবালয় ও যমুনার আশপাশ এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা

চামড়ার দাম নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে : বাণিজ্য উপদেষ্টা

সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রে উপচে পড়া ভিড়

মহাবিপদে ট্রাম্প

মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে আন্তরিক সরকার : প্রধান উপদেষ্টা

ঈদের পর পরই শেহবাজ-এরদোয়ানের ফোনালাপ, কী নিয়ে আলোচনা

বর্জ্য পরিষ্কার করলেন বিএনপি নেতা

১০

গণঅভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারের পাশে আছে বিএনপি : আমিনুল হক 

১১

ব্রুনার দাবি, কাগজে-কলমে নেইমারের স্ত্রী তিনি

১২

যুদ্ধের মুখে ইরান-ইসরায়েল, ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ৫টি সংকেত

১৩

জেলেদের নিরাপত্তায় লাইফ জ্যাকেট বিতরণ করলেন ড. মাসুদ

১৪

বর্জ্য অপসারণের প্রতিবেদন নিয়ে ডিএনসিসির বিজ্ঞপ্তি

১৫

হামজাদের ম্যাচ ঘিরে বাড়তি সতর্কতা, নিরাপত্তায় নামছে সোয়াট ইউনিট

১৬

ডিসেম্বরের পরে একদিনও নির্বাচন পেছানো যাবে না : আজাদ

১৭

তালাবদ্ধ ঘরে নারী গার্মেন্টস কর্মীর অর্ধগলিত মরদেহ

১৮

ট্রাম্পকে টক্কর দিতে নতুন দল আনছেন মাস্ক

১৯

নতুন গোলকিপার দলে নেওয়ার খবরে ক্ষুব্ধ টের স্টেগেন, ক্লাব ছাড়তে নারাজ

২০
X