গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেছেন, ইতিহাসে দুইটি নির্বাচন হয়েছিল জুন মাসে, বিশেষ পরিস্থিতির কারণে। বর্তমানে সেই পরিস্থিতি নেই। এপ্রিলের আবহাওয়া, এসএসসি পরীক্ষা, রমজান মাস বিবেচনায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে জানুয়ারি কিংবা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, সামগ্রিক বিবেচনায় জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের উপযুক্ত সময়।
সোমবার (০৯ জুন) বিকেলে নিজ এলাকা কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়ন ও বিন্নাটি ইউনিয়নে গণসংযোগে গণঅধিকার পরিষদের ২১ দফা সম্বলিত লিফলেট বিতরণ শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় জনগণের কাছে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষে আগামী নির্বাচনে জনসমর্থন আশা করেন।
আবু হানিফ বলেন, আমরা রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চাই। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে ক্ষমতার পরিবর্তন হয়েছে, শাসকের পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন হয়নি। আমরা সেই পেশীশক্তির বাহিরে মেধাভিত্তিক রাজনীতি গড়তে চাই। জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময় এই দেশে দখলদারিত্ব কিংবা পেশীশক্তির রাজনীতির ঠাঁই হবে না।
আবু হানিফ আরও বলেন, গত কিছু দিন আগে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় কিশোরগঞ্জের এসপিসহ তিনজন ও ঢাকার একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে শাস্তি হিসেবে প্রত্যাহার করেছিলো। আমরা তখনই বলেছিলাম এ ঘটনায় মাঠ পর্যায়ে কেউ জড়িত নয় বরং সরকারের উচ্চ পর্যায়ের লোকজন জড়িত কিন্তু তাদের শাস্তি না দিয়ে নিরীহ চার পুলিশকে প্রত্যাহার করা হয়, যা তাদের সঙ্গে জুলুম হয়েছিল। যেহেতু সাবেক রাষ্ট্রপতি গতরাতে দেশে ফিরেছেন, তাই তার দেশত্যাগকে কেন্দ্র করে যে চার পুলিশকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল তাদেরকে পূর্বের স্থানে পুর্নবহাল করা হোক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক সুমন তালুকদার, গণঅধিকার পরিষদ কিশোরগঞ্জ জেলার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অভি চৌধুরী, সদর উপজেলার আহ্বায়ক মোমিন উদ্দিন জনি, সদস্যসচিব কবি আল মোহাম্মদ মোস্তফা, জেলা যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হাসান আহমেদ রমজান, জেলা শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক প্রমুখ।
মন্তব্য করুন