লক্ষ্মীপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জামায়াত নেতা কাউছার আহম্মদ মিলন (৬০) হত্যা মামলায় এক বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (১১ জুন) দুপুরে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, মঙ্গলবার (১০ জুন) রাতে তাকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার বাবুল (৫০) সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের আদিলপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মামলার এজাহারভুক্ত ৮ নম্বর আসামি।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে নিহত কাউছারদের বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে গত বৃহস্পতিবার (৫ জুন) দুপুরে রাজিবপুর এলাকায় বাদীর বাড়ির সামনে অভিযুক্ত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কাউসারের ভাই আফতাব হোসেন আরজুর ওপর হামলা করে। এ সময় তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করা হয়। ঘটনাটি দেখে কাউছার তার ভাইকে বাঁচাতে যায়। তখন তার মাথার পেছনে লোহার রড দিয়ে কয়েকটি আঘাত করা হয়। এরপর মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে এলোপাতাড়ি পেটানো হয়েছে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে সন্ধ্যায় কাউছারের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে গত রোববার (০৮ জুন) নিহতের স্ত্রী শিল্পি আক্তার বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ২০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
ওসি আব্দুল মোন্নাফ বলেন, মামলার ৮ নাম্বার আসামি বাবুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে লক্ষ্মীপুর আদালতে সোপর্দের প্রস্তুতি চলছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।
এদিকে কাউছার হত্যার ঘটনায় জাতীয় ইমাম সমিতির সহসভাপতি মাওলানা হাবিব আহমেদ সেহাব, যুগ্মমহাসচিব মাওলানা মহিউদ্দিন, এহসান উদ্দিন ও জেলা কমিটির সভাপতি মাওলানা গিয়াস উদ্দিনসহ একটি টিম অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রেজাউল হকের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন। এ সময় সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ সভায় তারা হত্যার ঘটনা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। পরে তারা কাউছারের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তারা কাউছারের কবর জিয়ারত করেন।
প্রসঙ্গত, নিহত কাউসার বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের ওলামা বিভাগের সভাপতি ছিলেন।
মন্তব্য করুন