সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের চালবন্দ পয়েন্ট এলাকায় একটি মরিচ ক্ষেতে কৃষিকাজ করার সময় একটি সক্রিয় গ্রেনেড পাওয়া গেছে। পরে সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট সেটি সফলভাবে নিষ্ক্রিয় করে।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে জমির মালিক স্থানীয় কৃষক সাব্বির আহমদ প্রথমে গ্রেনেডটি দেখতে পান। তিনি বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে বিশ্বম্ভরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে শান্তিগঞ্জ সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে অবহিত করে।
এদিকে শুক্রবার দুপুরে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে গ্রেনেডটি পরীক্ষা করে। এরপর তারা নিশ্চিত হয়, এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধকালীন ব্যবহৃত K36 অথবা M36 মডেলের একটি সক্রিয় গ্রেনেড। পরে নির্দিষ্ট প্রটোকল অনুসরণ করে তারা গ্রেনেডটি নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে নিষ্ক্রিয় করে।
বিশ্বম্ভরপুর থানার ওসি মো. মুখলেছুর রহমান জানান, স্থানীয় কৃষক সাব্বির আহমদের জমিতে গ্রেনেডটি দেখতে পেয়ে তিনি আমাদের জানান। আমরা দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানাই। তাদের তৎপরতায় এটি নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব হয়েছে।
এ বিষয়ে শান্তিগঞ্জ সেনাবাহিনীর ক্যাম্প ইনচার্জ লে. কর্নেল আল হোসাইন বলেন, গ্রেনেডটি K36 অথবা M36 মডেলের, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ব্যবহৃত হতো। এটি হয়তো মাটির নিচে এতদিন চাপা ছিল, কিংবা কেউ অন্য কোনো জায়গা থেকে এনে এখানে ফেলে গেছে। পুলিশ আমাদের জানালে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করি।
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলেও সেনাবাহিনী ও পুলিশের তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের বিস্ফোরক দ্রব্য কোথাও দেখতে পেলে স্থানীয়দের তাৎক্ষণিকভাবে প্রশাসনকে জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য করুন