খুলনার কয়রা সদর ইউনিয়নের সুতি বাজারসংলগ্ন বেড়িবাঁধের শাকবাড়িয়া খালে নির্মিত একটি গুরুত্বপূর্ণ স্লুইসগেটে দুপাশের মাটি সরে গিয়ে ভয়াবহ ধস দেখা দিয়েছে। এতে ওই এলাকার মানুষ চরম আতঙ্কে রয়েছেন। সামান্য জোয়ারেই প্লাবিত হতে পারে বিস্তীর্ণ জনপদ।
সোমবার (১৬ জুন) সকালে ভাটার টানে ধসের ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, উপজেলায় পানি প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে শাকবড়িয়া খালের ওপর নির্মিত বড় স্লুইসগেটটি। এই গেটে ধস দেখা দেওয়ায় কৃষিকাজে মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, স্লুইসগেটটি নির্মাণের পর থেকে প্রায় প্রতি বছরই এমন ফাটল দেখা দেয়। গেটের দুপাশে ভালোভাবে কাজ না করায় স্লুইসগেটটির নিচের অংশে ফাঁকা সৃষ্টি হয়। হঠাৎ একপাশ ধসে পড়ে। এর আগে কয়েকবার এমন ধসের ঘটনা ঘটলেও স্থায়ীভাবে কোনো সমাধানের উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। স্লুইসগেটটি ধসে গেলে জোয়ারের পানিতে কয়রা, মহারাজপুর, মহেশ্বরীপুর, বাগালী ও উত্তর বেদকাশীর অন্তত ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হবে এবং কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে স্লুইসগেটের ধসে যাওয়া স্থানটি দ্রুত মেরামতের দাবি জানিয়েছে।
মহারাজপুর ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবু সাইদ বলেন, সুতিবাজার সংলগ্ন স্লুইসগেটের পাশে ফাঁটল দেখা দিয়েছে। যেটা দ্রুত মেরামত করা না গেলে বড় ক্ষতির করণ হয়ে দাঁড়াবে। মেরামত না করা হলে এই স্থান দিয়ে ভেঙে গেলে মহারাজপুর ও পার্শ্ববর্তী কয়রার কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়বে।
কয়রা সদর ইউনিয়নের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান এস এম লুৎফার রহমান জানান, স্লুইসগেটটি নির্মাণের পর থেকে প্রতিবছরই বর্ষা মৌসুম আসলে ফাটল ও ধসের দেখা দেয়। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানালে তাৎক্ষণিক নামমাত্র কিছু কাজ করা হয়। তবে স্থায়ী সমাধানের জন্য কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি কর্তৃপক্ষের। দ্রুত মেরামত না করা হলে স্লুইসগেট দিয়ে পানি নিষ্কাশন সম্ভাব হবে না। বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে কৃষকের অনেক ক্ষতি হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম বলেন, অতি বৃষ্টির কারণে মাঝে মাঝে স্লুইসগেটের পাশ দিয়ে মাটি সরে যায়। বিষয়টি জেনেছি। জরুরি ভিত্তিতে ধসে যাওয়া স্থান মেরামত করা হবে।
মন্তব্য করুন