চাঁদা না দেওয়ায় এবং ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় ঢাকায় করা একটি মামলায় মাগুরার বিএনপি নেতাকর্মী, শিক্ষক-চিকিৎসক, ব্যবসায়ীসহ নিরীহ ব্যক্তিদের আসামি করার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (২২ জুন) মাগুরায় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ঢাকায় আহত হন মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার দরিবিলা গ্রামের সোহেল রানা। এ ঘটনায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি মামলা করেন। শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ মজুমদার মামলার বাদীকে প্রভাবিত করে আসামির তালিকায় বিএনপির ২৯ নেতাকর্মীসহ শিক্ষক-চিকিৎসক, ব্যবসায়ীদের নাম ঢুকিয়ে দেন।
সংবাদ সম্মেলনে মামলার আসামি শিক্ষক উত্তম অধিকারী বলেন, মামলার বাদীকে আমরা চিনি না। আর যে মামলায় আমাদের আসামি করা হয়েছে, সেই ঘটনা ঘটেছে ঢাকার মোহাম্মাদপুরে। তিনি বলেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ মজুমদার বিভিন্ন সময় আমার কাছে নানা কারণে টাকা চেয়ে আসছিলেন। টাকা না দেওয়ায় আমাকে মামলায় জড়ানো হয়েছে।
আরেক আসামি ডা. পরিমল বলেন, আমরা চারজনে শ্রীপুরে একটি ক্লিনিক চালাতাম। একপর্যায়ে একজন অংশীদার তার অংশ বিক্রি করে চলে যান। পরে তিনি আবার ফিরে এসে মালিকানা দাবি করেন। তার এ অযৌক্তিক দাবি না মানায় মাসুদ মজুমদার ১৫ লাখ টাকা চান। সেই টাকা না দেওয়ায় মামলায় আসামি করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মামলার বাদী সোহেল রানা গত বৃহস্পতিবার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলী আহমেদের কাছে এ বিষয়ে তার অবস্থান তুলে ধরেছেন। তাকে তিনি জানিয়েছেন মাসুদ মজুমদার তাকে প্রভাবিত করে মামলা করিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আশরাফুল আলম জোয়ারদার ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আব্বাস উদ্দিন।
এদিকে, অন্যকে প্রভাবিত করে মামলা করানোর অভিযোগ ওঠার পর বিএনপি নেতা মাসুদ মজুমদারকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে জেলা বিএনপি। গত ১৮ জুন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলী আহমেদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা মাসুদ মজুমদার বলেন, মামলার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমাকে অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন