কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২৫, ০৩:০৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আমরা কোনো অবিচার চাই না : ডা. শফিকুর

কুলাউড়ায় নিহত শিক্ষার্থী নাফিসার বাড়িতে তার স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে যান জামায়াত আমির। ছবি : কালবেলা
কুলাউড়ায় নিহত শিক্ষার্থী নাফিসার বাড়িতে তার স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে যান জামায়াত আমির। ছবি : কালবেলা

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা কোনো অবিচার চাই না। আমরা ন্যায়বিচার চাই। আমরা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে বলছি, তাদের কলম যেন ন্যায়ের পক্ষে চলে।

শুক্রবার (২৭ জুন) মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামে স্কুলছাত্রী নাফিসা আনজুমের বাড়িতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চান তিনি।

শফিকুর রহমান বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোনো শক্তি কিংবা অন্য কিছুর কাছে প্রভাবিত হয়ে যদি নয়ছয় করেন, তাহলে আল্লাহর দরবারে ধরা খাবেন, দুনিয়ায় ধরা খাবেন। আমরা কিন্তু ছাড় দেব না। কারণ এই খুনি হলো আত্মস্বীকৃত খুনি। এই খুনি আনজুমকে জুলুম করে খুন করেছে, সে নিজে সাক্ষী দিয়েছে। এখানে অন্য কোনো সাক্ষী থাকলেও চলবে, না থাকলেও চলবে।

তিনি বলেন, বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে বিচার করবে। স্বাধীন বিচারকের ওপর পরাধীনতা করার চেষ্টা কাম্য নয়। শুনেছি, এই হত্যা মামলা নিয়ে অনেকেই প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন। এরকম যদি হয়ে থাকে আমরা তা প্রতিহত করব। ন্যায়বিচারের জন্য সবাইকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাব।

তিনি আরও বলেন, মজলুম পরিবারের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। এত বড় জঘন্য কাজ করার পর যদি অপরাধীর উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত না হয়, তাহলে এলাকায় আরও বড় শয়তানের জন্ম হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নিহত আনজুমের বাবা আব্দুল খালিক, জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, জেলা জামায়াতের আমির ইঞ্জিনিয়ার শাহেদ আলী, নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল রহমান, জেলা সেক্রেটারি মো. ইয়ামীর আলী, কুলাউড়া উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি বেলাল আহমদ চৌধুরী, সহকারী সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম খান ও আলাউদ্দিন, ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি লুৎফুর রহমান, ছাত্রশিবির জেলা সভাপতি নিজাম উদ্দিন প্রমুখ।

গত ১২ জুন সকাল ৭টার দিকে শিক্ষার্থী আনজুম পার্শ্ববর্তী সিংগুর গ্রামে কোচিং করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। সে ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল খালিকের মেয়ে ও শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী। নিখোঁজের দুদিন পর ১৪ জুন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বাড়ির পাশের ছড়ার পাড়ে দুর্গন্ধ পেয়ে ভুক্তভোগীর ভাই ও মামা তার অর্ধগলিত মরদেহ খুঁজে পান।

এ ঘটনায় আনজুমের মা নাছিমা আক্তার বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ এ ঘটনায় পার্শ্ববর্তী দাউদপুর গ্রামের বাসিন্দা জাহির মিয়ার ছেলে জুনেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়।

এদিকে অভিযুক্ত জুনেল মিয়া পুলিশের কাছে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করলেও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। এ নিয়ে নিহতের পরিবার, আনজুমের সহপাঠী ও এলাকায় চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। ঘাতক জুনেলকে দ্রুত বিচার ট্র্যাইবুনালে এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি এলাকাবাসীর।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আজ ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় 

দুই শিক্ষার্থীসহ ৪ প্রাণ কাড়া দুই যানে ছিল না ফিটনেস

১৪ আগস্ট : টিভিতে আজকের খেলা

১৪ আগস্ট : আজকের নামাজের সময়সূচি

বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

ক্ষমতায় থাকাকালীন আ.লীগ দেশকে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে বানিয়েছিল : নীরব

রংপুরে ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু পরিবারগুলোর পাশে ইসকন

স্বপ্ন পূরণের পথে দাবাড়ু মুনতাহা, পাশে দাঁড়ালেন আমিনুল হক

কেশবপুরে বিএনপির উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত

পাথর উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযান

১০

নাটকীয় কামব্যাকের পর টাইব্রেকারে পিএসজির সুপার কাপ জয়

১১

জন্মাষ্টমী : সাংবাদিকদের সাথে পূজা পরিষদের মতবিনিময় বৃহস্পতিবার

১২

রাহুল গান্ধীকে হত্যার হুমকি

১৩

সাদা পাথর উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু

১৪

বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে উয়েফা সুপার কাপে

১৫

স্বর্ণ পাচারে জড়িত সেই কেবিন ক্রু রুদাবা সাসপেন্ড

১৬

ইতালি উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকা ডুবে ২৬ জনের মৃত্যু

১৭

অফিসে হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলে কী করবেন 

১৮

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালককে গুলির পর কুপিয়ে হত্যা

১৯

হাজার কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস 

২০
X