কুষ্টিয়া পৌর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে কারচুপির অভিযোগে নির্বাচন বাতিল এবং জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের পদত্যাগের দাবিতে দলটির কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছেন একাংশের নেতাকর্মীরা। এ সময় কাফনের কাপড় জড়িয়ে ও বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে শত শত নেতাকর্মী কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন।
মঙ্গলবার (০১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের স্টেশন রোডে জেলা বিএনপির প্রধান কার্যালয় ঘেরাও করে ৩ ঘণ্টা যাবত এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এ সময় নেতাকর্মীরা পৌর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে কারচুপির নির্বাচন বাতিলসহ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন ও সদস্য সচিব জাকির হোসেন সরকারের পদত্যাগের দাবি জানান। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাবি না মানা হলে হরতালসহ আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা।
সভাপতি পদপ্রার্থী কাজল মাজমাদার বলেন, ২৭ জুন যে নির্বাচন হয়েছে প্রহসনের নির্বাচন। আমার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। এ সময় হরতালের মতো কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এ সময় তিনি জেলা বিএনপিকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম বেঁধে দেন। এর মধ্যে বিষয়টি সুরাহা না হলে সামনে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
তিনি বলেন, ১৭ বছর আন্দোলন করেছি মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। তা কি আমরা ফিরে পেয়েছি! এ সময়ে তিনি জেলা বিএনপিকে অথর্ব উল্লেখ করে জেলা বিএনপি না চালাতে পারলে পদত্যাগের আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে জানতে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ এবং সদস্য সচিব ইঞ্জি. জাকির হোসেন সরকারের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তারা কেউ ফোন রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জুন পৌর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ আনেন পরাজিত প্রার্থীরা। এরপর থেকেই শহরজুড়ে সৃষ্টি হয় উত্তেজনা। বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দেয় প্রকাশ্য বিভেদ।
মন্তব্য করুন