কুমিল্লার মুরাদনগরের ধর্ষণকাণ্ডের ১২ দিন পর ভুক্তভোগীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। সময়মতো ডাক্তারি পরীক্ষা না হওয়ায় আলামত নষ্ট হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (০৮ জুলাই) কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুরাদনগর থানার এসআই রুহুল আমিন।
ঘটনার পরদিনই পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগীকে হাসপাতালে পাঠানো হলেও তিনি পরীক্ষা করাতে অসম্মতি জানান। তার স্বামী প্রবাস থেকে নিষেধ করেছেন এমন কথা জানিয়েছেন ওই ভুক্তভোগী।
ওই নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার একমাত্র আসামি ফজর আলী এখনো অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তিনি সুস্থ হলে মামলার পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হবে।
গত ২৬ জুন রাতে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের বাহেরচর পাঁচকিত্তা গ্রামে ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসা ওই নারীকে (২৩) পাশবিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। সেসময় একদল লোক ঘরে ঢুকে ভুক্তভোগী নারী ও ধর্ষণে অভিযুক্ত ফজর আলীর ওপর নির্যাতন চালায়। ভিডিও ধারণ করে পরে তা ছড়িয়ে দেয়। যা নিয়ে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে।
মন্তব্য করুন