কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে দেড় বছরের শিশুকে হত্যার হুমকি দিয়ে মাকে ধর্ষণের অভিযোগে দেবরকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। বুধবার (০৯ জুলাই) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ ছাড়া পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগীকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে মঙ্গলবার (০৮ জুলাই) দুপুরে ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পরে অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া আসামির নাম নাইম শেখ (২০)। তিনি উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের কসবা গ্রামের ইদ্রিস শেখের ছেলে। তিনি চলতি বছর খোরশেদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। ভিকটিম ও আসামি সম্পর্কে আপন দেবর-ভাবি। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলাইমান শেখ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিমের স্বামী পদ্মা নদীতে ট্রলারে কাজ করেন। সোমবার (০৭ জুলাই) রাতে স্বামী কাজে গেলে দেবর নাইম শেখ ভাবির শয়নকক্ষে প্রবেশ করেন এবং ভুক্তভোগীর দেড় বছর বয়সী শিশুকে হত্যার হুমকি দিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। এরপর ভুক্তভোগী তার স্বামীকে বিষয়টি বললে তিনি আপস-মীমাংসার কথা বলেন। পরে দেবরের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
ভুক্তভোগীর মামা বলেন, ভাগনিকে নিয়ে হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য এসেছি। তার দেড় বছরের এক সন্তান আছে। আসামি নাইম সন্তানকে জবাই করে হত্যার হুমকি দিয়ে খারাপ কাজ করেছে।
মামলার বাদী ভিকটিমের বাবা বলেন, মেয়েকে তার দেবর ধর্ষণ করেছে। উপযুক্ত শাস্তির প্রত্যাশায় থানায় মামলা করেছি। তবে এ বিষয়ে প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি ভিকটিমের স্বামী ও আসামির বড় ভাই।
কুমারখালী থানার ওসি সোলাইমান শেখ বলেন, ভাবিকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে দেবরের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা। মামলায় আসামিকে মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করে বুধবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ভিকটিমকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মন্তব্য করুন