রাজবাড়ী-মধুখালী অঞ্চলে ইয়াবা সরবরাহকারী হিসেবে পরিচিত ইসহাক শেখকে (২৭) ফরিদপুর সেনা ক্যাম্প ও মধুখালী থানার যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযানে তার কাছ থেকে ৪৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (১২ জুলাই) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ফরিদপুরের মধুখালীর বিল আরালিয়া বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ইসহাক শেখ রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলা সদরের শেখপাড়া গ্রামের মো. আজগর শেখের ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে মাদকের সক্রিয় সরবরাহকারী হিসেবে তিনি প্রশাসনের নজরে ছিলেন। অনলাইনে মাদক ব্যবসার সাম্রাজ্য গড়েছেন তিনি। তাকে ধরতে বারবার অভিযানে ব্যর্থ হওয়ায় পলাতক ছিলেন তিনি।
সেনা সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে ফরিদপুর আর্মি ক্যাম্পে তথ্য আসে, মধুখালীর বিল আরালিয়া বাজার এলাকায় ইসহাক শেখ অবস্থান করছে এবং ইয়াবা লেনদেনে সক্রিয় রয়েছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ১৫ রিভারাইন ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়নের একটি টহল দল এবং মধুখালী থানার পুলিশ বাহিনী যৌথভাবে অভিযানের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বিল আরালিয়া বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ইসহাক শেখকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তার দেহ তল্লাশি করে ৪৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ইসহাক শেখ দীর্ঘদিন ধরে রাজবাড়ী ও মধুখালী অঞ্চলে ইয়াবা সরবরাহের মূল উৎস হিসেবে কাজ করছিল। প্রশাসন এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর তাকে ধরার জন্য একাধিকবার অভিযান চালালেও প্রতিবারই সে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল। ইসহাক শেখ এবং জব্দ মাদকদ্রব্য মধুখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মধুখালী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে। ইসহাক শেখ ২০০০ সাল থেকে বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের আমতলা বাজারে চা ব্যবসায়ী হিসেবে দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। কিছুদিনের মধ্যেই পাশে আর একটা দোকান ভাড়া নিয়ে ক্যারাম বোর্ডের ব্যবসা শুরু করে। এ ব্যবসার আড়ালে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। মধুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম নুরুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, আসামিকে শনিবার সকালে ফরিদপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন