ফরিদপুরে পাসপোর্ট করতে এসে স্বামী-স্ত্রীসহ ৩ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। এ সময় ২ জন স্থানীয় দালালকেও আটক করে পুলিশ।
রোববার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় শহরের কমলাপুর চাঁদমারির পাসপোর্ট অফিসের সামনে থেকে তাদেরকে আটক করে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
আটককৃত রোহিঙ্গারা হলেন- আব্দুল ছোবহান (৬০), তার স্ত্রী হাসিনা বেগম (৫৭) ও তাদের মেয়ে জামাই তৈয়বুর (২৯)। এ ছাড়া দুজন দালাল হলেন- ফরিদপুর শহরের কমলাপুর এলাকার রাশেদ খান (২৮) ও একই এলাকার সিয়াম আহম্মেদ (২৭)।
জানা গেছে, আটক রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে কক্সবাজার পৌর সদরের পাহাড়তলী মহল্লার ঠিকানাসংবলিত আব্দুল ছোবহান ও হাসিনা বেগমের নামে দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়। তবে এগুলো ভুয়া এনআইডি বলে জানা গেছে। ২০১৭ সালের ১২ মার্চ ওই এনআইডি কার্ড দুটি ইস্যু করা হয়।
আটক রোহিঙ্গা আব্দুল করিম জানান, দালালরা ৫০ হাজার টাকা চুক্তিতে তার শ্বশুর ও শাশুড়ির পাসপোর্ট করিয়ে দেওয়ার কথা বলে তাদের ফরিদপুরে নিয়ে আসে। তবে ফরিদপুর আসার পর তাদের ধরে একটি স্থানে নিয়ে দেড় লাখ টাকা দাবি করা হয়। কিন্তু ওই টাকা দিতে না পারায় চার পাঁচজন মিলে তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তিনি দৌড়ে পাসপোর্ট অফিসের সামনে এলে সেখানে আনসাররা তাদের উদ্ধার করে অফিসের মধ্যে নিয়ে যান। পরে পুলিশ এসে রাশেদ ও সিয়ামসহ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ফরিদপুর পাসপোর্ট অফিসের উপপরিচালক মো. নাইমুজ্জামান জানান, আনসার সদস্যরা তাদের অফিসে নিয়ে আসার পর ঘটনা জেনে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে তাদের।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার এসআই আহাদুজ্জামান বলেন, ভুয়া এনআইডি নম্বর দিয়ে গত ২৩ জানুয়ারি দুই রোহিঙ্গা নাগরিক পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন। তবে তাদের এনআইডিতে দেওয়া তথ্যের সঙ্গে সংগতি না থাকায় গত ৭ জুলাই তা রিজেক্ট করা হয়। এরপর তারা দালালের মাধ্যমে পাসপোর্ট করতে এসে আটক হয়েছে। আটককৃত রোহিঙ্গাদের বিষয়ে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
মন্তব্য করুন