গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচি ঘিরে সংঘর্ষের মধ্যে গুলিবিদ্ধ আরও একজন মারা গেছেন। নিহতের নাম রমজান মুন্সী (৩২)। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল পাঁচজনে।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) মধ্যরাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তিনি মারা যান।
সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ রমজান মুন্সী (৩২)
নিহতের ভাই ইমরান মুন্সী গণমাধ্যমে বলেন, বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে অটোরিকশা নিয়ে যাওয়ার সময় রমজান গুলিবিদ্ধ হন। তার ডান হাতের কব্জির ওপর এবং ডান বগলে গুলি লাগে। সেদিন রাতেই রমজানকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। এর একদিন পর তার মৃত্যু হলো। গোপালগঞ্জের সহিংসতার ঘটনায় সুমন বিশ্বাস (৩০) ও আব্বাস আলী (৩০) নামে আরও দুই গুলিবিদ্ধ বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন।
১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। দফায় দফায় হামলার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে পুরো শহরে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের মধ্যে চারজন নিহত এবং অন্তত নয়জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক আহত হন।
নিহতরা হলেন গোপালগঞ্জ শহরের উদয়ন রোডের বাসিন্দা সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহা (২৫), কোটালীপাড়ার রমজান কাজী (১৮), টুঙ্গীপাড়ার সোহেল মোল্লা (৪১) ও সদর উপজেলার ভেড়ার বাজার এলাকার ইমন তালুকদার (২৪)।
সংঘাতের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বুধবার রাত থেকে কারফিউ জারি করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কারফিউয়ের মেয়াদ শুক্রবার পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বুধবারের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২৪ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।
মন্তব্য করুন