জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, কক্সবাজারের চকরিয়ায় আমাদের ওপর হামলার চেষ্টা করা হয়েছে এবং বাঁধা দেওয়া হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের পরে বাংলাদেশে নতুন করে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করা হচ্ছে।
শনিবার (১৯ জুলাই) রাত পৌনে ৯টায় বান্দরবান প্রেসক্লাবের সামনে পথসভার মঞ্চে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, আমরা বলেছিলাম একটি সম্প্রীতি এবং সংহতির বাংলাদেশ গড়ে তুলব। যদি মত প্রকাশের অধিকার থাকে, তাহলে মতপ্রকাশের বিরুদ্ধে গেলেও সেটি গণতান্ত্রিকভাবে প্রকাশ করবেন। কিন্তু আমরা দেখেছি অগণতান্ত্রিকভাবে একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে বাঁধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। সামনে যদি কেউ ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করতে চায় জনগণ আবারো রাজপথে নামবে।
নাহিদ বলেন, যারা গণহত্যা করেছে, লুটপাট করেছে, অধিকারহীন করে রেখেছে তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে। রাষ্ট্রকে সংস্কার ঘটিয়ে রাষ্ট্রকে গণতান্ত্রিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। নতুন সংবিধানের জন্য গণপরিষদ নির্বাচন লাগবে।
তিনি আরও বলেন, ইনসাফের যে উন্নয়ন তা আমরা বান্দরবানের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে চায়। অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী করতে চায়। জুলাই গণঅভ্যুত্থান একটা সরকার পতনের আন্দোলন ছিল না। এটি ছিল একটি নতুন রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েমের জন্য মানুষের গণবিস্ফোরণ। মানুষের গণ-আকাঙ্ক্ষার প্রতিচ্ছবি। সরকার পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু ব্যবস্থার এখনও পরিবর্তন হয়নি।
এ সময় মুখ্য সম্পাদক আছাইম সায়েম হোসেন ও জেলা কমিটির যুগ্ম সমন্বয়ক লুক চাকমার সঞ্চালনায় পথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- হাসনাত আবদুল্লাহ, ডা. তাসনিম জারা, জোবায়েরুল হাসান আরিফ, সামান্তা শারমিন, নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক ইমন সৈয়দ, চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক, বান্দরবানের জেলা প্রধান সমন্বয়ক শহীদুর রহমান সোহেলসহ দলের নেতারা।
এর আগে রাত ৮টা ২২ মিনিটে কক্সবাজার থেকে সড়ক পথে কেন্দ্রীয় নেতারা বান্দরবান সদরে পৌঁছান। পরে বাসস্টেশন থেকে কেন্দ্রীয় নেতারা পদযাত্রা করে প্রধান সড়ক ধরে ট্র্যাফিক মোড়ের সোনালি ব্যাংকের সামনে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন