

রাজশাহীতে সাংবাদিকদের তালাবদ্ধ করে রাখার হুমকি দেওয়া ও হেনস্তাকারী জাতীয় যুবশক্তির দুই নেতাকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাতে সংগঠনের যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) আসাদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গুরুতর সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় যুবশক্তির রাজশাহী মহানগর শাখার মুখ্য সংগঠক মেহেদী হাসান ফারাবি এবং যুগ্ম সদস্য সচিব সোয়াইব আহমেদকে কমিটির সকল দায়িত্ব থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। একই সঙ্গে শৃঙ্খলা ভঙ্গজনিত কর্মকাণ্ডের দায়ে এ দুজনকে কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না, সে বিষয়ে আগামী দুইদিনের মধ্যে লিখিত এবং সশরীরে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য আহ্বায়ক তারিকুল ইসলাম এবং সদস্যসচিব ডা. জাহেদুল ইসলাম নির্দেশ প্রদান করেছেন।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা প্রদান না করা হলে সংগঠনের নীতিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে, গত সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাজশাহী পর্যটন মোটেলে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নতুন জেলা কমিটির পরিচিতি সভা ছিল। সে সভা পণ্ড করতে যান মেহেদী হাসান ফারাবি ও সোয়াইব আহমেদসহ এনসিপির ২৫-৩০ জন নেতাকর্মী। তারা অভিযোগ তোলেন, এনসিপির জেলা কমিটির নতুন আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম আওয়ামী লীগের দোসর এবং ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর দুই হাতে গুলি চালানো যুবলীগ ক্যাডার জহুরুল ইসলাম রুবেলের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। এজন্য তারা তার পদত্যাগ চাচ্ছিলেন। এর আগের দিন শনিবার রাতে এনসিপির একটি পক্ষ নগরীর বাটার মোড় এলাকায় সংবাদ সম্মেলনে জেলার নতুন আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্তের দাবি জানায়। পরে তারা সেখানে শেখ হাসিনা এবং এনসিপির নতুন জেলা আহ্বায়ক সাইফুল ইসলামের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন।
এ অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকরা মোটেলের সম্মেলন কক্ষে সাইফুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলছিলেন। প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালে সম্মেলনকক্ষের ভেতরে প্রবেশ করেন সোয়েব আহমেদ ও মেহেদী হাসান ফারাবি। এ সময় তারা এসে সাংবাদিকেরা বের না হলে কক্ষে আটকে রাখার হুমকি দেন।
ওই ঘটনার পর সাংবাদিকেরা তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানান। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে সোয়াইব ও তার সঙ্গীরা দৌড়ে বাইরে চলে যান। সাংবাদিকরাও তাদের পিছু নেন। পর্যটন মোটেল প্রাঙ্গণে বেশ কিছুক্ষণ উত্তপ্ত পরিস্থিতির তৈরি হয়।
মন্তব্য করুন