সাভার প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০২৫, ১০:৪৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আলোচিত সেই কিডনিকাণ্ডে নতুন মোড়

স্ত্রী উম্মে সাহেদীনা টুনির সঙ্গে মো. তারেক। ছবি : সংগৃহীত
স্ত্রী উম্মে সাহেদীনা টুনির সঙ্গে মো. তারেক। ছবি : সংগৃহীত

সাভারের আলোচিত কিডনিকাণ্ডে এবার মুখ খুলেছেন উম্মে সাহেদীনা টুনির স্বামী মো. তারেক। তারেকের অভিযোগ, স্ত্রী টুনি পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ার পর থেকেই তার সংসারে অশান্তি শুরু হয়। এমনকি কিডনি দেওয়ার বিনিময়ে তারেককে বাড়ির দ্বিতীয় তলা ও এক শতাংশ জমি লিখে দিতে বাধ্য করেন টুনি।

তারেক কালবেলাকে জানান, মালয়েশিয়া প্রবাসী জীবন শেষে দেশে ফিরে সাভারের কলমা এলাকায় স্থায়ী হন তিনি। ঘটকের মাধ্যমে টুনির সঙ্গে পরিচয় হয়। ২০০৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। সুখেই চলছিল সংসার। কিন্তু দুই বছর না যেতেই তারেকের কিডনি রোগ ধরা পড়ে।

ভারতে চিকিৎসা নিতে গেলে কিডনি প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেন চিকিৎসক। অর্থাভাবের সময়ে স্ত্রী টুনি কিডনি দিতে রাজি হলেও শর্ত দেন— বাড়ির দ্বিতীয় তলার মালিকানা ও এক শতাংশ জমি লিখে দিতে হবে। তারেক তাতে রাজি হন। কিডনি প্রতিস্থাপনের পরেও পুরোপুরি সুস্থ হননি তিনি। উচ্চক্ষমতার ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় শারীরিক সক্ষমতা কমে যায়।

এরই মধ্যে টুনির টিকটকে আসক্তি বাড়ে। তারেকের দাবি, টিকটক জগতের সঙ্গেই টুনির চরিত্রের পরিবর্তন আসে। একদিন বাড়ির এক ভাড়াটিয়ার সঙ্গে স্ত্রীর আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরে ফেলেন তিনি। উত্তেজিত হয়ে টুনিকে দুটি চড় দিলে সেই ঘটনা থেকে শুরু হয় তার দুর্দশা।

তারেক বলেন, সেদিনের পর থেকে আমার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও যৌতুকের মামলা হয়। জেলেও যেতে হয়। অসুস্থ শরীরে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে দেখি, টুনি আমার বিরুদ্ধে অনলাইন জুয়া আর পরকীয়ার গল্প সাজিয়েছে। অথচ আমি শারীরিকভাবেই অক্ষম। পরকীয়া করব কীভাবে?

বাড়ির সাবেক ভাড়াটিয়া মো. হৃদয় খান বলেন, তারেক যা বলেছেন, সব সত্যি। টুনির চরিত্রের ব্যাপার আগে থেকেই জানতাম।

বর্তমানে নিজের বাড়ি ছেড়ে ভাইয়ের বাসায় রয়েছেন তারেক। তার অভিযোগ, বাড়ির ভাড়া টুনি নিচ্ছে, আর আমি চিকিৎসার খরচের জন্য হাহাকার করছি। বিচ্ছেদও হয়নি। অথচ এই অবস্থায় টুনির এমন আচরণ অমানবিক। আমি বাড়ির ভাড়ার অংশ চাই, যেন চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারি।

প্রসঙ্গত, এর আগে টুনি অভিযোগ করেছিলেন, কিডনি দেওয়ার পর স্বামী তারেক পরকীয়া ও অনলাইন জুয়ার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। তবে এবার সম্পূর্ণ বিপরীত অভিযোগ সামনে আনলেন তারেক।

তারেক বলেন, পরকীয়া প্রেমিকদের মধ্যে রয়েছে, থাইল্যান্ড প্রবাসী এক যুবক, আমার খুব কাছের এক বন্ধু, আমার বাড়ির ভাড়াটিয়া এবং একজন গার্মেন্টস মালিক। এই নিয়ে সাভারে আলোচিত এই কিডনি কাণ্ডে নতুন করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে টুনি কালবেলাকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্যি নয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কোনো অবস্থাতে যেন বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান না হয় : সালাহউদ্দিন

অভ্যুত্থানে শহীদ বাঙলা কলেজের দুই ছাত্রের স্মরণে পদযাত্রা 

জুলাই অভ্যুত্থানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য: ড. মোর্শেদ

দেশের সংকট মোকাবেলা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই: ডা. হারুন

নতুন ব্যবস্থাপনায় গ্রাহক-আমানত বেড়েছে ইউসিবিএলের

৪০টির বেশি দেশে পণ্য রপ্তানি করছে দেশবন্ধু গ্রুপ

মাগুরায় ফের শিশু ধর্ষণের শিকার, পরিবারের পাশে তারেক রহমান

পদ্মার ভাঙন রোধের দাবিতে গণসমাবেশ

ফেনীতে এবার নদীভাঙনে বিলীন হচ্ছে জনপদ

ব্যস্ততা বেড়েছে নৌকা তৈরির কারিগরদের

১০

রাজধানীর পল্লবীতে বাসে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা

১১

‘এখন আমি অনেকটাই সুস্থ’

১২

স্টেডিয়ামে খাবার-পানি নেওয়ার অনুমতি, মানতে হবে ১২টি শর্ত

১৩

আবাসিক হোটেলে অভিযানে গিয়ে অবরুদ্ধ ভ্রাম্যমাণ আদালতের কর্মকর্তারা

১৪

বাংলাদেশে নতুন করে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করা হচ্ছে : নাহিদ

১৫

বৃহস্পতিবারের মধ্যে লঘুচাপের শঙ্কা, ভারি বর্ষণের পূর্বাভাস

১৬

ভৈরবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

১৭

প্রেমের গুঞ্জনে সৃজিত বললেন ‘রিল্যাক্স’

১৮

নির্বাচনের মাঠে এসে জনপ্রিয়তা যাচাই করুন : জুয়েল

১৯

টেলিগ্রাম অ্যাপে ‘বিনিয়োগ’ ফাঁদে ফেলে মানুষকে নিঃস্ব করত তারা

২০
X