চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে মামলা দিয়ে জেলের ভাত খাওয়ানোর হুমকি দেওয়ায় স্ত্রী রূপালী বেগমকে ঘরের বঁটি দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন স্বামী জামাল গাজী। পরে মরদেহ সেপটিক ট্যাংকের ভেতর ফেলে দেওয়া হয়।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে রূপালী হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে এসব কথা বলেন পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আব্দুর রকিব।
জানা গেছে, ফাতেমা বেগম রূপালী চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণের উপাদী দক্ষিণের ১ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ ঘোড়াখারি গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির কালু পাটোয়ারীর মেয়ে। তার স্বামী মো. জামাল গাজী পটুয়াখালীর গলাচিপার গেড়ামর্ধন গ্রামের মো. মোস্তফা গাজীর ছেলে।
গত ১১ জুলাই রাত প্রায় সাড়ে ৩টায় জামাল গাজী ঘরে থাকা ধারালো দা দিয়ে রূপালীর মাথায়, মুখমণ্ডলে, ঘাড়ে ও গলায় এলোপাতাড়ি একাধিক কোপ দিয়ে হত্যা করে। রূপালীর প্রথম সংসারের ছেলে টিপু পাটওয়ারী (২১) বাদী হয়ে জামাল গাজীর বিরুদ্ধে মতলব দক্ষিণ থানায় মামলা করেন। পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা উদ্ধার করে।
পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব বলেন, টিকটকে পরিচয়ের পর রূপালী ও জামাল ভালোবেসে বিয়ে করে। রূপালীর এটি দ্বিতীয় এবং জামালের তৃতীয় বিয়ে। কিন্তু বিয়ের মাসখানেকের মধ্যে পারিবারিক কলহ শুরু হলে জামাল ঘর থেকে ১১ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৩৬ হাজার টাকা নিয়ে উধাও হয়। পরে তাকে রূপালী লোকজনের সহায়তায় ধরে আনলে ১১ ভরি স্বর্ণালংকার ফেরত দিলেও নগদ টাকা ফেরত দেয়নি। এ নিয়ে রূপালী হুমকি দিলে রাতে ঘুমের মধ্যে হত্যাকাণ্ড ঘটায় জামাল। পরে সে পালিয়ে গেলেও থানায় হত্যা মামলার পর আমরা তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন- চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. লুৎফর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) মো. খায়রুল কবীর, সহকারী পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন সাঈদী, শারমিন রহমান, মতলব দক্ষিণ থানার ওসি সালেহ আহমেদ।
মন্তব্য করুন