চাঁদপুর (হাজীগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০২৫, ০৭:৫৩ এএম
আপডেট : ০১ আগস্ট ২০২৫, ০৮:০৮ এএম
অনলাইন সংস্করণ

চাঁদপুরে নদীভাঙন, ভিটামাটি হারানোর শঙ্কায় শতাধিক পরিবার

চাঁদপুর
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে নদীভাঙনের একটি চিত্র। ছবি : কালবেলা

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের সিরাজ তালুকদার বাড়ি এলাকায় ভয়াবহ টোরাগড় ডাকাতিয়া নদীর ভাঙনে শতাধিক পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েছে। মুহূর্তের মধ্যে বসতভিটা নদীতে বিলীন হওয়ার শঙ্কায় পুরো এলাকা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সরেজমিন দেখা যায়, ডাকাতিয়া নদীর পাড়জুড়ে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রতি মুহূর্তে মাটি খসে পড়ছে নদীতে। কোথাও কোথাও গাছপালাসহ বড় বড় অংশ নদীতে ধসে পড়েছে। স্থানীয়রা বাঁশ, বালুর বস্তা ও কাঠ দিয়ে যেভাবে পারছেন ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা তাইজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিদিনই নদীপাড় ভেঙে যাচ্ছে। কখন যে ঘরবাড়ি নদীতে চলে যাবে, সেই আতঙ্কে ঘুমাতে পারি না।’

আরেক ভুক্তভোগী ফাতেমা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, ‘আমার ঘরের অর্ধেক নদীতে চলে গেছে। এখন কোথায় আশ্রয় নেব, কিছুই বুঝতে পারছি না।’

আবুল কাশেম পাটোয়ারী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘নদীভাঙন রোধে এখনই ব্যবস্থা না নিলে পুরো গ্রাম নদীতে তলিয়ে যাবে। আমরা সরকারের জরুরি হস্তক্ষেপ চাই।’

স্থানীয়দের অভিযোগ, টোরাগড় নদীভাঙনের অন্যতম কারণ হলো হামিদিয়া জুট মিলে বলগেট নোঙর করা। নিয়মিত বলগেট থামানো ও ইঞ্জিন চালু রাখার ফলে প্রোপেলারের চাপেই নদীর তলদেশের মাটি সরে যাচ্ছে। আর তার ফলেই পাড় ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

বর্তমানে নদীভাঙনের হুমকিতে শুধু বসতভিটাই নয়, স্থানীয় রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ লাইনসহ গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামোও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। যে কোনো মুহূর্তে এগুলো নদীতে বিলীন হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা দ্রুত ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ ফেলা ও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন। তাদের আশঙ্কা, জরুরি ব্যবস্থা না নিলে শিগগির এলাকার অর্ধেক অংশ মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইবনে আল জায়েদ হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমরা খোঁজ নিচ্ছি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শীতকালে কত দিন পর পর শ্যাম্পু করা উচিত? জানুন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

বরগুনায় যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

‘শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের নিবাসীদের অধিকার সুরক্ষা ও সেবার মনোন্নয়ন’ শীর্ষক সেমিনার

বিএনপি ও ছাত্রদলের ৩ নেতা কারাগারে

বাংলাদেশ কোরআন শিক্ষা বোর্ডের মহাসচিব মারা গেছেন

শামিকে দলে না নেওয়ায় নির্বাচকদের ওপর ক্ষুব্ধ সৌরভ গাঙ্গুলি

দিল্লির ঘটনায় বাংলাদেশকে জড়ানো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

বিএনপি হচ্ছে গণতন্ত্রের চ্যাম্পিয়ন রাজনৈতিক দল : রিজভী

রাজধানীর সূত্রাপুরে বাসে আগুন

মামলা তুলে নেওয়ার বক্তব্যের বিষয়ে মির্জা ফখরুলের বিবৃতি

১০

এন্ড্রিককে রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার পরামর্শ আনচেলত্তির

১১

বিমানবাহিনীর সাবেক প্রধানের ফ্ল্যাট জব্দ, হিসাব ফ্রিজ 

১২

ইউক্রেন-যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধে রুশ যুদ্ধবিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টার অভিযোগ

১৩

টানা ৩০ দিন ডিম খেলে শরীরে অবিশ্বাস্য যে ৫ পরিবর্তন আসে

১৪

জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘আইডিয়া ফেস্ট’

১৫

গোপনে ক্যাম্প ন্যুতে এসে কি ইঙ্গিত দিলেন মেসি?

১৬

রোজা শুরু ও ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

১৭

মেয়েকে নিয়ে বাজে কথা বলা পারিবারিক মানসিক অসুস্থতা : স্পর্শিয়া

১৮

অসচ্ছল শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়ালেন ছাত্রদল নেতা মাজেদ

১৯

বুয়েট শিক্ষার্থী রিমান্ড শেষে কারাগারে 

২০
X