চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাড়িতে ঢুকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদা দাবি এবং স্বর্ণালংকার ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার সময় গণপিটুনি দিয়ে সোহেল রানা নামে এক যুবককে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয়রা। এ সময় সোহেলের আরও তিন সহযোগী পালিয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার স্বরূপনগরে এক বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আটক সোহেল পৌরসভার নয়াগোলা এলাকার বাসিন্দা। তিনি শহরের একটি বেসরকারি পলিটেকনিকের ছাত্র।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সেই বাড়িতে যান সোহেল রানাসহ চারজন যুবক। বাড়ির ভেতরে ঢুকে তারা দাবি করেন, বাড়িতে বাল্যবিয়ে হচ্ছে। বাল্যবিয়ের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তারা চাঁদা দাবি করেন।
কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে বাড়ির নারীদের মারধর করেন তারা। দুজনের গলায় থাকা দুটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেন। এ সময় বাড়ির লোকজন চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে এলাকাবাসী এসে সোহেলকে আটক করে গণপিটুনি দেন। এ সময় বাকিরা পালিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে সোহেলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক আব্দুর রহিম বলেন, সোহেল একটি বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে চাঁদা দাবির ঘটনায় আটক হয়েছেন বলে শুনেছি। সোহেল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো কমিটিতে ছিল না। তবে সে জুলাই যোদ্ধা। কেউ যদি জুলাই বিপ্লবের নাম করে অথবা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য পরিচয়ে কোনো অপকর্মে লিপ্ত হয়, তবে তার শাস্তি দাবি করছি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ওসি মতিউর রহমান কালবেলাকে বলেন, পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি।
মন্তব্য করুন