ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:১৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সন্তানকে পৃথিবীর মুখ দেখিয়েই মারা গেলেন মা

গ্রাফিক্স : কালবেলা
গ্রাফিক্স : কালবেলা

নিজের গর্ভের সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখাতে গিয়ে নিভে গেছে মায়ের প্রাণ। পাবনার ঈশ্বরদীতে সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে দিপা খাতুন (২০) নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টার দিকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।

দিপা খাতুন উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চর সাহাপুর গ্রামের সজিব হোসেনের স্ত্রী ও একই উপজেলার জয়নগর গ্রামের রেজাউল করিম টিপুর মেয়ে।

দিপার স্বামী জানান, মঙ্গলবার ভোরে প্রসব বেদনা নিয়ে দিপাকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে সকাল পৌনে ৭টার দিকে একটা ছেলে সন্তান জন্ম দেন দিপা। তার কিছুক্ষণ পরই মৃত্যু হয় দিপার। মৃতের পরিবারের দাবি, নার্সদের হাতে ডেলিভারির পরই মারা যান ওই প্রসূতি। এ সময় হাসপাতালে কোনো চিকিৎসক ছিলেন না। চিকিৎসক থাকলে হয়তো তাকে বাঁচানো যেত।

তবে দীপার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দায়িত্বরত চিকিৎসকদের মধ্যে একেকজন একেক ধরনের বর্ণনা দিয়েছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মিডওয়াইফ দিব্বা ভারতী বলেন, দীপার ডেলিভারির সময় আমি দায়িত্বরত ছিলাম। দিপার শরীরে রক্তের পরিমাণ অনেক কম ছিল। এটি তার রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টে দেখেছি। রক্তশূন্যতার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসমা খান সাংবদিকদের জানান, ডেলিভারির সময় দীপার রিপোর্টে কোনোরকম সমস্যা পাওয়া যায়নি। সন্তান প্রসবের পর হার্ট অ্যাটাকে সে মারা গেছে।

ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) শফিকুল ইসলাম শামীম ডেলিভারির সময় চিকিৎসক না থাকা প্রসঙ্গে বলেন, প্রতিদিন হাসপাতালে ৪-৫টি নরমাল ডেলিভারি হয়। এসব ডেলিভারি সবই মিডওয়াইফরা (স্পেশাল নার্স) করে থাকেন। তারা এ বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। এ সময় চিকিৎসকের কোনো প্রয়োজন হয় না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিতর্কের মুখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতা মারজুকের পদ স্থগিত

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন নির্দেশনা / ৮০% নম্বর ও ৬০% উপস্থিতি না থাকলে চূড়ান্ত পরীক্ষা নয়।

ডিআরইউতে সন্ত্রাসী জাকির গংদের হামলা, আহত একাধিক সাংবাদিক

স্বাস্থ্য পরামর্শ / স্থূলতা নিয়ে উদ্বেগ নয়, প্রয়োজন প্রতিরোধ

ইউরোপা লিগ ফাইনালে ম্যানইউকে হারিয়ে টটেনহ্যামের ইতিহাস

বিচারককে ফোন করে হুমকি দিয়েছেন এক উপদেষ্টা, অভিযোগ ইশরাকের

শারজাহতে লজ্জার হারে সিরিজ হারাল বাংলাদেশ!

প্রাথমিক শিক্ষায় মানোন্নয়নে ‘বিশেষজ্ঞ পুল’ গঠন করছে সরকার

বাঙলা কলেজ ছাত্রদলের পাঁচ নেতার পদ স্থগিত

তারুণ্যের সমাবেশ সফলে সিরাজগঞ্জে যুবদলের প্রস্তুতি সভা

১০

একের পর এক ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে সরকার : বাংলাদেশ এলডিপি

১১

সাভারে কৃষিজমি দখলের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

১২

সাম্য হত্যাকাণ্ড / তদন্তের অগ্রগতি জানতে ঢাবি উপাচার্যের সাথে সাদা দলের বৈঠক

১৩

জাতীয় নাগরিক পার্টির শিক্ষা ও গবেষণা সেল গঠিত

১৪

বিএনপি জনগণবিরোধী এক পরিণতির পথে হাঁটছে : নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

১৫

মাশরাফীর নেতৃত্বে বৈষম্যবিরোধী ৩০ নেতাকর্মীর ছাত্রদলে যোগদান

১৬

ছেলের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে অপপ্রচারের শিকার মা

১৭

‘অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনকে উপেক্ষা করছে, তারা ক্ষমতার স্বাদ পেয়ে গেছে’

১৮

ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত : সেনাপ্রধান

১৯

ভারতীয় গরু ভেবে ২৪ গরু আটক বিজিবির, মহাসড়কে বিক্ষোভ

২০
X