বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য খাত সংস্কারের তিন দফা দাবিতে প্রতীকী কফিন মিছিল করা হয়েছে।
শনিবার (২ আগস্ট) দুপুর ১২টায় সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার ব্যানারে নগরের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে সদর রোডে ষষ্ঠ দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
পরে কাফনের কাপড়ে মোড়ানো প্রতীকী লাশ নিয়ে এক প্রতিবাদী কফিন মিছিল বের করা হয়, যা সদর রোডসহ নগরের প্রধান প্রধান সড়ক হয়ে শেবাচিম হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ফটকের সামনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলের স্লোগানে শেবাচিমকে ‘দুর্নীতি ও অনিয়মের আঁতুড়ঘর’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা বলেন, শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন রোগী চিকিৎসা নিতে গেলে তাকে পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হয়। হাসপাতালের অবকাঠামো, দক্ষ জনবল, আধুনিক যন্ত্রপাতি ও ওষুধ সরবরাহসহ সর্বক্ষেত্রে আজ সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
তারা আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনো পর্যন্ত কোনো কার্যকর আশ্বাস দেয়নি, যা স্বাস্থ্য খাত সংস্কারের যৌক্তিক দাবিগুলোর প্রতি চরম অবহেলার প্রমাণ। তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দাবি বাস্তবায়নে দ্রুত ও সন্তোষজনক পদক্ষেপ না নেওয়া হলে আন্দোলন আরও দীর্ঘমেয়াদি ও কঠোর হবে।
এদিকে কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনিসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতা অংশগ্রহণ করেন। এদিকে আন্দোলনের সময় একজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে নাভিদ ইসলাম বলেন, জরুরি বিভাগে অসুস্থ শিক্ষার্থীকে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। ট্রলি ব্যবহারের নামে হয়রানির শিকার হতে হয় এবং চিকিৎসা পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয় হাসপাতালে। পরে আন্দোলনরতদের চাপের মুখে সংশ্লিষ্টরা তড়িঘড়ি করে চিকিৎসাসেবা প্রদান করে। জনগণের এ আন্দোলন বরিশালের স্বাস্থ্য খাতে স্বচ্ছতা ও মানবিকতা ফেরানোর লক্ষ্যে চলমান থাকবে।
মন্তব্য করুন