

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেড় বছরের শিশুসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২০ হাজারে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাত থেকে শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাত পর্যন্ত পৃথক সময়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
সবশেষ যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তারা হলেন— ভোলা সদর উপজেলার চাচরা এলাকার বাসিন্দা মো. জুয়েলের এক বছর চার মাস বয়সী ছেলে সাবিদ ও বরগুনার আমতলী উপজেলার শোনাখালী গ্রামের বাসিন্দা আর্শেদ আলীর ছেলে আবু বক্কর (৫০)। এর মধ্যে শিশু সাবিদকে গত ২১ নভেম্বর বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগে ভর্তি করা হলে পরদিন অর্থাৎ ২১ নভেম্বর বিকেলে এবং বরগুনার আবু বক্করকে গত ১৭ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ২০ নভেম্বর রাতে তার মৃত্যু হয়।
এ নিয়ে চলতি বছরে বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ২৮ জন, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ জন, বরগুনা জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ১৫ জন, পটুয়াখালী জেলায় দুজন এবং ভোলা ও পিরোজপুরে একজন করে মারা গেছেন।
তা ছাড়া চলতি বছরে বিভাগের ছয় জেলার সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নেওয়া ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ২০ হাজার ৪০১ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে সর্বশেষ ২১ নভেম্বর সকাল ৮টা থেকে ২২ নভেম্বর সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছে ৯০ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ৩১৫ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল কালবেলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর দিক থেকে বিভাগের মধ্যে বরগুনা জেলা এগিয়ে। সম্প্রতি মশার উপদ্রব বেড়েছে। এ কারণে ডেঙ্গুর বিস্তার বাড়ছে। ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পেতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
মন্তব্য করুন