নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করায় উপদেষ্টা পরিষদের কোনো কোনো সদস্যের মন খুবই খারাপ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) হাফিজ উদ্দিন। বুধবার (০৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাজশাহীর আলুপট্টি মোড়ে বিএনপি আয়োজিত বিজয় র্যালির আগে এক পথসভায় তিনি একথা বলেন।
কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজশাহী মহানগর ও জেলা বিএনপি আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।
হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘প্রকৃত অর্থে আমরা একটি গণআন্দোলন গড়ে তুলেছিলাম। এ আন্দোলনে বিএনপির ৫০০ কর্মী শহীদ হয়েছে। এই আন্দোলনকে অর্থবহ করে তুলতে হবে। যখন অন্তর্বর্তী সরকার প্রফেসর ইউনূসের নেতৃত্বে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। এক ধরনের উপদেষ্টা তারা বলার চেষ্টা করছে যে তারা ৫ বছরের জন্য এখানে এসেছে। কেউ কেউ বলার চেষ্টা করেছে ইউনূস সাহেবের সরকার যতদিন দরকার চলুক। আর নির্বাচিত সরকারের কোনো প্রয়োজন নেই। তাদের কারও কারও মতে রাজনৈতিক দলসমূহ এ দেশকে ধ্বংস করেছে সুতরাং তাদের আর রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’ প্রফেসর ইউনূসকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমাদের নেতা তারেক রহমানের সঙ্গে প্রফেসর ইউনূস সাহেব বৈঠক করেছিলেন। সেই বৈঠকে তিনি ওয়াদা করেছিলেন যে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিবেন। তিনি তার কথা রেখেছেন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য আরও বলেন, ‘আমরা বিএনপি জনগণের ভোটে চারবার ক্ষমতায় গিয়েছি। আমরা রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য কখনোই উদগ্রিব ছিলাম না। কিন্তু বাংলাদেশের মতো একটি দেশে যদি জনগণের নির্বাচিত সরকার না থাকে তাহলে এই দেশের উন্নয়ন হবে না। ১৯৭১ সালে আমরা মেজর জিয়াউর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে আমরা সারা দেশে মুক্তি যুদ্ধের সূচনা করেছিলাম। তখন যদি আমরা সৈনিকরা ও ছাত্ররা পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ না করতাম তাহলে দেশ আজও স্বাধীন হতো না। ’৭১-এর যুদ্ধ ছিল গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ। এই গণতন্ত্রকে ধ্বংশ করেছে আওয়ামী লীগের সরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেখা যাচ্ছে দু-একটি দল যাদের জনসমর্থন নেই এদের মধ্যে কেউ কেউ ১৯৭১ সালে মুক্তি যুদ্ধের বিরোধিত করেছিল। তারা জানে জনগণ তাদের ভোট দেবে না। সেই জন্য তাদের মন খুবই খারাপ। নির্বাচন না দিলেই ভালো ছিল। তারা গত এক বছরে নির্বাচনের স্বাদ কিছুটা অনুভব করেছে। তারা চেয়েছিল এই ভাবেই তারা দিন কাটিয়ে দেবে।’
এ সময় বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আবু বকর সিদ্দিক, রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকার, নগর বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা, সদস্য সচিব মামুন-অর-রশিদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন