

শহীদ শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের দ্রুত ও ন্যায্য বিচারের দাবিতে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষার্থীরা ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে অবস্থান কর্মসূচি ও মানববন্ধন করেছেন। একই সঙ্গে ছাত্রদের জন্য বরাদ্দ নতুন একটি হলের নামকরণ হাদির নামে করতে দাবি তুলেন তারা।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরীর তালাইমারি মোড়ে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে রুয়েটের বিভিন্ন বিভাগের কয়েকশত শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
এর আগে বেলা আড়াইটার দিকে শিক্ষার্থীরা রুয়েটের প্রধান ফটকে হাদির ছবিসংবলিত একটি প্রতিবাদী ব্যানার টানান। মানববন্ধনে তারা ‘তুমি কে আমি কে, হাদি হাদি, আমরা সবাই হাদি হবো, যুগে যুগে শহীদ হবো, আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে, হাদি ভাই মরলো কেন, ইন্টেরিম জবাব দে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি তোলেন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি ভারতীয় ও বৈদেশিক অন্যায্য আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জাতীয় একতা ও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশজুড়ে আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা জোরালোভাবে তুলে ধরেন। এছাড়াও তারা ইন্টেরিম সরকারকে ধিক্কার জানান ওসমান হাদি হত্যার বিচারের সুরাহা করতে না পারার কারণে এবং দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা প্রদানে ব্যর্থতার কারণে।
মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে রুয়েট মেইন গেট হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন। শেষে ছেলে শিক্ষার্থীদের জন্য স্থাপিত রুয়েটের নতুন একটি হলের নামকরণ সর্বসম্মতিক্রমে ‘শহীদ শরিফ ওসমান হাদি হল’ নামে করার দাবিতে হলের সামনে ব্যানার ঝুলানো হয়। সেই সঙ্গে প্রশাসনের কাছে দ্রুত সময়ের জন্য তা বাস্তবায়নের দাবি জানান। কর্মসূচি শেষে ওসমান হাদির স্মরণে ও তারই অনুকরণে শিক্ষার্থীদের মুড়ি বাতাসা খাওয়ানো হয়।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অগ্রনায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদি ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা করে আসছিলেন। গত ১২ ডিসেম্বর জুমার নামাজের পর নির্বাচনী প্রচারণা করতে গেলে রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় দুর্বৃত্তদের হাতে গুলিবিদ্ধ হন।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওসমান হাদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয় এবং সেখানে মস্তিষ্কের অস্ত্রোপচার করানো হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ও পরে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলেও গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
মন্তব্য করুন