জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা বলেছেন, ’২৪-এর অভ্যুত্থানে নারীরা একেবারে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু বিপ্লবী নারীরা এখন সাইবার ব্যুলিংয়ের শিকার। যেসব নারী রাজনীতি করতে চান তাদের নিরাপদ স্থান গড়ে দেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এ বিষয়ে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামে ‘গণপরিষদ নির্বাচন, নতুন সংবিধান, বিচার ও সংস্কারের জাতীয় দাবিতে’ আয়োজিত উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, আগামীর বাংলাদেশ আপনার-আমার বাংলাদেশ। তরুণদের বাংলাদেশ। নারীদের বাংলাদেশ। আমাদের মা-খালাদের বাংলাদেশে। এই বাংলাদেশ যাতে সবার হয় সেই চেষ্টায়-ই আমরা করছি। যে সংবিধান আপনার-আমার অধিকার সংরণ করবে সেই সংবিধানের পথেই আমরা হাঁটব। আমাদের পথটা অনেক লম্বা। খুব সহজেই যে আমরা এ লড়াই জিতব- সেটি ধরে নিচ্ছি না। আমাদের দীর্ঘ সংগ্রাম করতে হবে। আমরা এর জন্য প্রস্তুত।
তাসনিম জারা বলেন, শেখ হাসিনার আমলে সীমাহীন খুন, গুম ও নির্যাতন হয়েছে। তার ১৫ বছরের সবগুলো নির্বাচনই ছিল অবৈধ। তারপর তরুণদের নেতৃত্বে আপামর জনগণ রক্ত দিয়ে হাসিনাকে হটিয়ে ইন্টেরিম সরকারকে ক্ষমতায় পাঠিয়েছে। কিন্তু গত একটি বছর ধরে এই বিপ্লবী তরুণদের নিয়ে নানা কটূ কথা হচ্ছে। বলা হচ্ছে- আমরা বয়সে ছোট। আমরা কীভাবে দেশ চালাব। কিন্তু এই ছোট মানুষদেরই কিন্তু দেশের প্রতি মায়া বেশি। তরুণরা ক্ষমতার প্রতি প্রশ্ন ও চ্যালেঞ্জ ছুড়তে পারে। তাদের সেই সাহস আছে। সুতরাং তরুণরা শুধু রাজপথে রক্ত দেবে, কিন্তু তাদের মতামতের গুরুত্ব দেওয়া হবে না- সেটি আর এ দেশে চলতে দেওয়া হবে না।
সিলেট জেলা এনসিপি সদস্য ও ফরিদপুর গ্রামের বাসিন্দা সামসুজ্জামান হেলালের সভাপতিত্বে উঠান বৈঠকে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের সংগঠক অ্যাডভোকেট শিরিন আক্তার শেলী, যুগ্ম-সদস্যসচিব ও সিলেট বিভাগীয় সংগঠক নাহিদ উদ্দিন তারেক, সিলেট মহানগর শাখার প্রধান সমন্নয়ক আবু সাদেক মোহাম্মদ খায়রুল চৌধুরী, জেলা সদস্য সুহেল আহমেদ মূসা, আয়েশা সিদ্দিকা প্রিয়া ও মো. গিয়াস উদ্দিন।
উঠান বৈঠকে স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এবং নারী ও যুবসমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন