কক্সবাজারের বাঁকখালীর নদীর দখলযজ্ঞ উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) অভিযানের দ্বিতীয় দিনে আতিকুল ইসলাম সিআইপি নামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তির কবজায় থাকা প্রায় ৬০ একর জমি দখলমুক্ত করা হয়েছে। ওই জমিতে থাকা বেশ কিছু স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই অভিযান চালানো হয়। এর আগে প্রথমে বাঁকখালী ব্রিজের পশ্চিমের স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গিয়ে অবৈধ দখলদারদের হামলায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও বিআইডাব্লিটিএ যৌথভাবে ধারাবাহিক এই অভিযান চালাচ্ছে।
বিআইডাব্লিটিএ কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক খায়রুজ্জামান শুভ কালবেলাকে জানান, আদালতের আদেশে দখলদারের কবজায় থাকা বাঁকখালী নদীর জমি উদ্ধার অভিযান সোমবার শুরু হয়। ধারাবাহিকভাবে মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনও সকাল ৯টার দিকে অভিযান শুরু হয়। প্রথমে বাঁকখালী ব্রিজের পশ্চিমে নদী ভরাট করে গড়ে তোলা স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। কিন্তু এতে বাধা সৃষ্টি করে দখলবাজরা। এ সময় তারা পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং নানাভাবে হামলা চালায়। এতে ইটের আঘাতে দুই পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন। তাদেরকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে তা শীতল করার জন্য ওই স্থান থেকে সরে এসে ব্রিজের পূর্বপাশে আতিকুল ইসলাম সিআইপি নামের এক ব্যক্তির দখলে থাকা নদীর জমি উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ওই ব্যক্তির দখলে থাকা প্রায় ৬০ একর জমি দখলমুক্ত করা হয়। এ সময় ওই জমিতে থাকা বহু স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ওই স্থানে থাকা পাথরসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নিলামে তোলা হয়েছে।
সার্বিক প্রসঙ্গে বিআইডাব্লিটিএ’র উপপরিচালক একেএম আরিফ উদ্দীন বলেন, কক্সবাজার শহরে কস্তুরাঘাট, পেশকার পাড়া, মাঝির ঘাট, ৬নং ঘাট ও নুনিয়াছড়াসহ বিভিন্ন স্থানের দখল করা জমি দখলমুক্ত করতে অভিযান অব্যাহত থাকবে। নদীর জমি দখলমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিক এই অভিযান চলবে। দখলমুক্ত ভূমিগুলো খননের মাধ্যমে পুনরায় নদীতে রূপান্তর করা হবে।
মন্তব্য করুন