নোয়াখালীর সুবর্ণচরে পুকুর থেকে তপন চন্দ্র মজুমদার নামের একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ডালিম চন্দ্র মজুমদার নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কুমোদ মজুমদারের বাড়ির পুকুরপাড় থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত তপন চন্দ্র মজুমদার (৪২) একই ইউনিয়নের চরবাটা গ্রামের মৃত ননী গোপাল মজুমদারের ছেলে। অন্যদিকে, আটক ডালিম একই গ্রামের ভবতোষের বাড়ির ভবতোষ চন্দ্র মজুমদারের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ডালিম ও তপন দুই বন্ধু প্রায় একসঙ্গে মাদকসেবন করত। মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তপনকে একই এলাকার তার বন্ধু ডালিমের সঙ্গে রাস্তায় হাঁটতে দেখে স্থানীয় লোকজন। পরে গাঁজা সেবনের কিছুক্ষণ পর উভয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে ডালিম ধাক্কা দিয়ে তপনকে পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়। পুকুরে পড়ার সময় তপন ডালিমকে সঙ্গে নিয়ে পড়ে।
আরও জানা গেছে, তাদের চিৎকার শুনে দুই ব্যক্তি মো. মনসুর ও অটোরিকশাচালক নারায়ণ মজুমদার ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়ে তারা কুমোদ মজুমদারের পুকুরের পানি থেকে আওয়াজ শুনতে পায়। তাৎক্ষণিক তারা ডালিমকে ওই পুকুরের পানি থেকে উদ্ধার করে। তপনকে পুকুরের পানিতে খোঁজাখুঁজি করেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
পরে রাত সোয়া ২টার দিকে তপনের লাশ পুকুরে ভেসে ওঠে। খবর পেয়ে পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ডালিমের হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে নিহত তপনের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই।
চরজব্বর থানার ওসি শাহীন মিয়া বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। অসুস্থ থাকায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। তিনি আরও বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যু সঠিক কারণ জানা যাবে।
মন্তব্য করুন