নিজের সরকারি বাসভবনের সীমানা প্রাচীর সংস্কার করতে গিয়ে জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতি মুছে সমালোচনার মুখে পড়া ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) রাতে জেলা প্রশাসক ময়মনসিংহের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে গ্রাফিতি মোছার কারণ ব্যাখ্যা করেন তিনি। একই সঙ্গে দেয়ালে নতুন করে গ্রাফিতি এঁকে দেবেন বলেও জানান তিনি।
ফেসবুকে জেলা প্রশাসনের পোস্টটিতে লেখা হয়েছে, সবাই অবগত আছেন যে, ৫ আগস্ট ২০২৪ ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের বাংলো, জেলা প্রশাসকের বাংলোর দেয়ালসহ বাসভবন, ভবনের গেট এবং পাঁচটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ভবন ও দেয়াল মেরামত করার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অনেক লেখালেখি করার পর কিছু আর্থিক বরাদ্দ পাওয়া যায়। ওই বরাদ্দ প্রাপ্তির পরে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন, দেয়াল এবং চারপাশে বেড়া, কাঁটাতারের বেড়াসহ নানাবিধ সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে কাজের অনেকদূর অগ্রগতি হয়েছে।
পোস্টে আরও বলা হয়েছে, জীর্ণশীর্ণ ওয়ালের মধ্যে কিছু গ্রাফিতি ছিল। এগুলো থাকা অবস্থায় সংস্কার করা না হলে ভবন ও দেয়াল অরক্ষিত থাকবে। অর্থ বরাদ্দ ল্যাপস হয়ে যাবে। ভবনের নিরাপত্তার স্বার্থে চার পাশে কাঁটাতারের বেড়া লাগানো হয়েছে। ওয়ালগুলোকে উপরের দিকে সম্প্রসারণ করা হয়েছে। ওয়ালকে টাচ না করে কাজ করার কোনো সুযোগ নেই মর্মে গণপূর্ত অধিদপ্তর, ময়মনসিংহ কর্তৃক জানানো হয়।
জেলা প্রশাসক পোস্টে বলেন, কাজের সময় কিছু গ্রাফিতির ওপর সিমেন্টের আঁচড় লাগে। এতে কিছুটা বেমানান লাগছিল। এটা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির কোনো অবকাশ নেই। গণপূর্ত কর্তৃক নির্মাণ ও মেরামত কাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়ে গেলে আমি আগের চেয়ে আরও সুন্দর ও মনোমুগ্ধকরভাবে গ্রাফিতি অঙ্কন করে দেব, ইনশাআল্লাহ।
জেলা প্রশাসক স্পষ্ট করেন, এ নির্মাণ ও সংস্কার কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে গণপূর্ত অধিদপ্তর ময়মনসিংহ জেলার পক্ষ থেকে। ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে গণপূর্ত অধিদপ্তর থেকে। ঠিকাদার নিয়োগের সঙ্গে জেলা প্রশাসকের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, আমি নিজেও ২৪কে ধারণ করি এবং লালন করি। ২৪-এর আদর্শকে সমুন্নত রাখতে চাই। ২৪-এর চেতনার পরিপন্থি কোনো কাজ আমার দ্বারা হবে না—এটা সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই।
মন্তব্য করুন