চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলার দক্ষিণ রাগৈয়ের মিজি–পণ্ডিত বাড়িতে উদ্বোধন করা হয়েছে সম্পূর্ণ কাঠের তৈরি মসজিদ – ‘রাগৈ কাঠের মসজিদ ও মাহাদ’। স্থানীয় ও প্রবাসীদের উদ্যোগে নির্মিত এই অনন্য স্থাপনা কেবল একটি ইবাদতের স্থান নয়, বরং এটি জাতিগত ঐতিহ্যের স্মারক, ঐক্যের প্রতীক এবং আধ্যাত্মিক জাগরণের বার্তাবাহক।
রাগৈ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ ও অর্থায়নে নির্মিত এই কাঠের মসজিদের স্বপ্নদ্রষ্টা হলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্মানিত নাগরিক ও আন্তর্জাতিক রিয়েল এস্টেট খাতের শীর্ষ নেতৃত্ব মোহাম্মদ আল মারজুকি।
তিনি বলেন, এই মসজিদ শুধু কাঠ দিয়ে তৈরি নয়–এটি আমাদের ইমান, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং ভবিষ্যতের প্রতি অঙ্গীকারের প্রতিফলন।
এ মসজিদকে ঘিরে মুগ্ধতার শেষ নেই দর্শনার্থীদের আর স্থানীয়দের কাছে মসজিদটি যেন এক গর্বের বিষয়!
স্থানীয়রা বলেন, প্রায় ৪০ বছরের পুরোনো একটি টিনের মসজিদের স্থানে নির্মিত হয়েছে এই কাঠের মসজিদ। স্থাপত্যের পাশাপাশি এটি একটি পূর্ণাঙ্গ কমিউনিটি পুনর্জাগরণের প্রতীক হয়ে উঠছে। এই মসজিদের কাঠের দেয়াল দেখে আপনি মুগ্ধ হতে বাধ্য।
রাগৈ ফাউন্ডেশনের অধীনে বর্তমানে নির্মাণাধীন আধুনিক রাগৈ মেডিকেল সেন্টার–এ পাওয়া যাবে জরুরি চিকিৎসা, সাধারণ চিকিৎসা, ডেন্টাল ও ইএনটি সেবা, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ চিকিৎসা, ফিজিওথেরাপিসহ বহুমুখী স্বাস্থ্যসেবা।
ফাউন্ডেশনের শিক্ষামূলক কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে কোরআন হিফজ ও তাজবিদ ক্লাস আরবি ভাষা শিক্ষা (দুবাই থেকে আরব শিক্ষক), ইংরেজি শিক্ষা (ইউকে ও দুবাইয়ের ব্রিটিশ শিক্ষক), আইটি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) অনলাইন প্রশিক্ষণ। সব বয়সের নারী-পুরুষের জন্য উন্মুক্ত এসব কর্মসূচির লক্ষ্য একটি স্বনির্ভর ও শিক্ষিত সমাজ গড়ে তোলা। রাগৈ কাঠের মসজিদ শুধু একটি স্থাপত্য নিদর্শন নয়, বরং এটি ঐক্যের বার্তাবাহক ও আল্লাহর ঘরের প্রতি ভালোবাসার জীবন্ত স্বাক্ষর।
রাগৈ ফাউন্ডেশন ও সংশ্লিষ্টরা সবার কাছে এই মসজিদ, মা’হাদ ও আসন্ন স্বাস্থ্য-শিক্ষা উদ্যোগের জন্য বিশেষ দোয়া কামনা করেছেন। তাদের বিশ্বাস এই মসজিদ বাংলাদেশের হৃদয়ে এক নবজাগরণের সূচনা করবে, ইনশাআল্লাহ।
মন্তব্য করুন