কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ক্ষেতের আইলের পাশে বোতলে কিছুটা কীটনাশক রেখে বাকিটা ধানক্ষেতে স্প্রে করছিলেন কৃষক। এ সময় ওই কৃষকের অগোচরে পানি ভেবে বোতলের সবটুকু কীটনাশক পান করেন মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবক।
একপর্যায়ে বিষক্রিয়া শুরু হলে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন তিনি। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের উত্তর বড়ভিটা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
কীটনাশক পানে মারা যাওয়া ওই যুবকের নাম মইনুল ইসলাম (৩৫)। তিনি ওই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা নাদের হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, মইনুল ইসলাম অনেক দিন আগে থেকেই মানসিক ভারসাম্যহীন। অনেক চিকিৎসা করানোর পরও সুস্থ না হওয়ায় হাট-বাজারে, পথে-ঘাটে অস্বাভাবিকভাবে ঘুরে বেড়াত। রোববার সকালে ওই এলাকার কৃষক প্রদীপ কুমার তাহার ধানের জমিতে মাজরা পোকা দমনের কীটনাশক স্প্রে করছিলেন। বাকি কীটনাশক জমির পাশে বোতলে রাখা ছিল। এ সময় মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক হঠাৎ এসে প্রদীপের অগোচরে বোতলের ছিপি খুলে সবটুকু কীটনাশক পান করেন।
একপর্যায়ে বিষক্রিয়ায় চিৎকার করতে থাকলে প্রদীপ এবং আশপাশের লোকজন তার কীটনাশক পান করার বিষয়টি বুঝতে পারেন। পরে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তারা। কিন্তু ততক্ষণে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন যুবক মইনুল।
খবর পেয়ে ফুলবাড়ী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শওকত হোসেন সরকার কালবেলাকে জানান, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে। মৃত্যু সম্পর্কে পরিবারসহ কারও কোনো সন্দেহ না থাকায় পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের জন্য মৃতদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন