যশোর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:১৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

দুই শিবির নেতাকে গুলির অভিযোগে ইন্সপেক্টর ও কনস্টেবল গ্রেপ্তার

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। ছবি : কালবেলা
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। ছবি : কালবেলা

যশোরের চৌগাছায় গ্রেপ্তারের পর ‘বন্দুকযুদ্ধের নাটক’ সাজিয়ে ইসলামী ছাত্রশিবিরের দুই নেতাকে গুলি করার অভিযোগে দায়ের হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কনস্টেবল সাজ্জাদুর রহমানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে সাজ্জাদুরকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম সংবাদ সম্মেলনে জানান, এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) একই মামলায় মো. আতিকুল ইসলাম নামে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। তিনি ওই সময় চৌগাছা থানার ইন্সপেক্টরের দায়িত্বে ছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়া দুজনই ২০১৬ সালের ঘটনায় চৌগাছা থানায় কর্মরত ছিলেন।

প্রসিকিউটরের ভাষ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালে চৌগাছা থানার এলাকায় মোটরসাইকেলে যাওয়ার পথে ইসলামী ছাত্রশিবিরের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রথমে তাদের থানায় এবং পরে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর একটি চুক্তি অনুযায়ী তাদের আদালতে হাজির করার কথা ছিল।

কিন্তু সেই চুক্তি ভঙ্গ করে আগের রাতেই তাদের চোখ বেঁধে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয় এবং দুই হাঁটুতে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করা হয়। পরদিন আদালতে তোলা হয় এই মর্মে, তারা ‘বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ’ হয়েছেন। আদালত শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠান।

গুরুতর আহত দুই ছাত্রশিবির নেতাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরবর্তীতে তাদের দুজনেরই পা কেটে ফেলতে হয়।

প্রসিকিউটর তামিম বলেন, এটি ছিল বিরোধী রাজনৈতিক মতাবলম্বীদের ওপর সুপরিকল্পিত নির্যাতনের অংশ। সেই সময় গোটা বাংলাদেশেই এমন ঘটনা ঘটত— কারও হাঁটুতে, কারও হাতে গুলি করে বিকলাঙ্গ করা হতো। চৌগাছার ঘটনাটিও সেই ধারাবাহিক নির্যাতনের অংশ। এ জন্যই এটি মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে।

আইনজীবীদের মতে, এই মামলাটি শুধু দুটি ব্যক্তিকে গুলি করার ঘটনার বিচার নয়— এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক সহিংসতার একটি বড় অধ্যায়কে ট্রাইব্যুনালের সামনে উন্মোচন করছে।

মানবাধিকার কর্মীদের দাবি, এমন মামলার বিচার হলে ভবিষ্যতে রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের সংস্কৃতি কমবে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জবাবদিহিতা বাড়বে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ডাকসুতে বিজয়ীদের শুভেচ্ছা হাসনাতের, জানালেন নিজের প্রত্যাশা

রাত পোহালেই ৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন

ফরিদা পারভীন লাইফ সাপোর্টে

জাকসু নির্বাচনে জিতুর পাশে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ

কাতারের পর মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশে ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৯

পান্থকুঞ্জ-হাতিরঝিল অংশে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা

ভারতের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুললেন ক্ষমতাচ্যুত কেপি শর্মা

সাবেক ডিসি সুলতানাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত

সেন্টমার্টিন থেকে ৪০ জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি

হাবিপ্রবিতে জুলাই আন্দোলনে হামলাকারী ৭৯ জনের নাম প্রকাশ

১০

মৌসুমি বায়ু সক্রিয়, ৪ বিভাগে ভারী বৃষ্টির শঙ্কা

১১

অলিতে গলিতে ব্যানার-ফেস্টুন নগরীর সৌন্দর্যহানি, রাজস্ব ক্ষতি

১২

কত টাকায় পাওয়া যাবে আইফোন ১৭ প্রো

১৩

অনিয়মিত অভিবাসীদের হুঁশিয়ারি যুক্তরাজ্যের

১৪

২৭ বল খেলেই আমিরাতকে হারাল ভারত

১৫

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ উপাচার্য হলেন ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম

১৬

ইটের গুঁড়া দিয়ে কীটনাশক-সার তৈরি করত তারা

১৭

অনিয়মের ব্যাপারে চুল পরিমাণ ছাড় নয় : ডিসি সারওয়ার

১৮

কূটনীতিকদের সম্মানে নৈশভোজ মঈন খানের

১৯

মিছিল শুরু করেই পালিয়ে গেল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ

২০
X