চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মুজিবুর রহমান বলেছেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক পর্যটন নগরী কক্সবাজার এবং পার্বত্য জেলা বান্দরবান যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম। এ সড়ক দিয়ে বিপুল পরিমাণ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য রসদ নেওয়া হয়। একটি সরু সড়কে এত চাপের কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার টানেলের মতো অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি প্রশস্ত করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আমরা অতিদ্রুত সড়কটি ছয় লেনে উন্নীত করার দাবি জানাচ্ছি।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সাতকানিয়া উপজেলার ঠাকুরদীঘি বাজারে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেনের দাবিতে সাতকানিয়া বিএনপির উদ্যোগে মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি।
দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানির কারণে সড়কের কালো বিটুমিন রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে জানিয়ে মুজিবুর রহমান বলেন, একেকটি দুর্ঘটনায় কয়েকটি পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়ছে। প্রতিটি দুর্ঘটনার পর আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয় সড়কটি প্রশস্ত করার। কিন্তু দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বাস্তবিক অর্থে সড়কটিকে ছয় লেন দেখতে চাই। এ জন্য কোনো আমলাতান্ত্রিক জটিলতা না করে দ্রুত কাজ দেখতে চাই।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক বলেন, বাংলাদেশে ৬৭টি জাতীয় মহাসড়কের মধ্যে জাতীয় মহাসড়ক-১ হলো ঢাকা-কক্সবাজার মহাসড়ক। এ সড়কটি পর্যটনশিল্প, অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে এক অপরিসীম গুরুত্ব বহন করে। অথচ স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও এ সড়ককে ৬ লেনে উন্নীত করার দাবিতে আন্দোলনে নামতে হচ্ছে—এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাকর, অপমানজনক এবং দুঃখজনক। আমরা অনতিবিলম্বে এ মহাসড়কটির ৬ লেন বাস্তবায়নের সুস্পষ্ট ঘোষণা চাই। অন্যথায়, আমরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হব।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির বিএনপির সিনিয়র সদস্য হাজী রফিকুল আলম, অ্যাডভোকেট আবু তাহের, আবদুল কাইয়ুম, তসলিম উদ্দিন চৌধুরী, ফরিদুল আলম, মোহাম্মদ শফি. নেজাম উদ্দিন, আব্বাস উদ্দিন, মোহাম্মদ ইলিয়াস, ইফতেখার উদ্দিন রাজিব, মোহাম্মদ মিজান, মোহাম্মদ শাহজাহান, মোহাম্মদ রাশেদ ও আনিস।
মন্তব্য করুন