

গোপালগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম বলেছেন, দেশের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাই সমাজের প্রকৃত সেবক ও প্রাণ।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে মুকসুদপুর উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সেলিমুজ্জামান সেলিম বলেন, জনপ্রতিনিধি হিসেবে মানুষের সেবা করা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। আমরা নিজেদের জনগণের সেবক মনে করি এবং সেভাবেই কাজ করি। জনপ্রতিনিধিরা যতটা মানুষের কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ পায় তা অন্য কোনো পেশার মানুষের পক্ষে সম্ভব হয় না। নির্বাচনের জন্য হোক অথবা মানুষের সেবা করার জন্য হোক, সমাজে জনপ্রতিনিধিদের মানুষের সঙ্গে মিশে থাকতে হয়। মানুষের অভাব-অনটন থেকে শুরু করে দুঃখ-দুর্দশা এবং বিভিন্ন মতবিরোধে বিচার সালিশ করতে হয় জনপ্রতিনিধিদেরই।
তিনি আরও বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে ১৭ বছর বিএনপির নেতাকর্মী অনেক মিথ্যা মামলা, হয়রানির শিকার হয়েছে। কিন্তু ৫ আগস্টের পরে কাশিয়ানী-মুকসুদপুরে বিএনপি দল থেকে কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়নি। তবে, যারা অন্যায় করেছে তারা আইন অনুযায়ী শাস্তি পাবে। এ জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে বিএনপির ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে হবে।
সেলিমুজ্জামান আরও বলেন, বিভিন্ন পারিবারিক কলহে প্রায়ই নিরীহ মানুষ হয়রানির শিকার হন, আজ থেকে উপজেলার কোনো ইউনিয়নে কোনো নিরীহ মানুষ যেন ন্যূনতম হয়রানির শিকার না হয়—সেই বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। কোনো নিরীহ মানুষকে নিপীড়ন, নির্যাতন বা মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো যাবে না।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বিএনপির জন্ম হয়েছে সংস্কারের মধ্য দিয়ে। একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, জনগণের মৌলিক অধিকার ও নারী শিক্ষা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি—এসবই বিএনপির নেতৃত্বেই বাস্তবায়িত হয়েছে।
এ সময় উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুস ছালাম খান, সাধারণ সম্পাদক তারেকুল ইসলাম রাজু, গোপালগঞ্জ জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব মো. বদরুজ্জামান এজাজ, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাহিত্য ও প্রকাশনা সহ-সম্পাদক মাহমুদুল হাসান বাপ্পীসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের ইউপি সদস্যরা এবং উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন